দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে জীবনের সব স্বপ্ন পূরণ করতে কে না চায়। কিন্তু দীর্ঘ জীবন পেতে কী কী করতে হয় তা অনেকেরই অজানা। কিংবা জানা থাকলেও তা করিনা। যার দরুন অনিয়মিত আর ভেজালের যুগে ক্রমেই কমে আসছে জীবনের আয়ু। তবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী ও নিউট্রিশনিস্ট জেমস কোলান্টিনি-এর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে উঠে এসেছে এক আশ্চর্যকর তথ্য। যেখানে বলা হয়েছে সাতটি সুপার ফুড-এর কথা। তিনি দাবি করেন, ৭ টি খাওয়ার রোজকার খাদ্যভ্যাসে রাখলে মানুষের জীবনকাল ১০০ বছর স্বচ্ছন্দে ছুঁয়ে ফেলতে পারবে। তাহলে আর ভাবছেন কী দীর্ঘজীবি জীবন পেতে কী কী খাবেন জেনে নিন-
১. মধু-
চিকিৎসকদের মতে দীর্ঘজীবন পেতে নিয়মিত খান কাঁচা মধু। এতে রয়েছে
প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এবং খনিজ। তাই এর নিয়মিত সেবন আমাদের জীবনের অনেক অসুখ দূর
করে। যেমন ক্যান্সার ও হার্টের সঙ্গে যুক্ত ও সম্পর্কিত বহু রোগকে দূরে সরিয়ে দেয়।
আর রোগ দূরে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের কল কব্জাগুলো অনেক সুস্থ থাকবে। এছাড়াও
টিঁউমার জাতীয় কঠিন রোগেরও উপশম করে নিয়মিত মধু সেবন।
২. ছাগলের দুধের কফি-
শীতকাল পড়েগেছে। আর শীতকালে দিনের শুরুটাই হয় গরম কফিতে চুমুক দিয়ে।
আর সারাদিনে কবার চলে তা ওগুন্তিক। বেশিরভাগ মানুষই দুধ দিয়ে কফি পছন্দ করেন। কিন্তু
এবার থেকে গরুর দুধের পরিবর্তে বেছে নিন ছাগলের দুধ। একটি হেল্থ জার্নালে প্রকাশ তথ্য
অনুযায়ী ছাগলের দুধে তৈরি করা কেফির নিয়মিত সেবন টিউমার দূরে করে। এছাড়াও ছাগলের দুধে
থাকা প্রোবায়োটিন আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে দুর্দান্তভাবে বুস্ট করে। পাশাপাশি পুরুষ
ও মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার ৫৬ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
৩. বেদনা-
বেদানা বা ডালিমে ভিটামিন এ, ই ও সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তা ছাড়া বেদানাতে প্রচুর অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টি টিউমারাল প্রোপার্টিজ রয়েছে, যা শরীরে নানান রোগ দূর করে। তাই শীতের দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর নিজে এবং পরিবারের সকলকে দিন বেদনা কিংবা বেদনার রস। এর নিয়মিত সেবন একশো রকমের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও বেদানায় থাকা মাইটোকন্ড্রিয়া মাংসপেশির গঠন মজবুত রাখে।
৪. কাঁচা কলা-
চিকিৎসকদের মতে সুস্থ থাকতে বেছে নিন কাঁচা কলা। কারণ এটি সর্ব
রোগ প্রতিরোধক। কাঁচা কলায় একটি প্রোবায়োটিক থাকে, যা আমাদের পেটের মধ্যে থাকা
ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্য খাবার সরবরাহ করে এবং এটি দেহের নানান রোগ প্রতিরোধে কার্যকর
ভূমিকা গ্রহণ করে। এছাড়াও কাঁচা কলায় কিডনি ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ কমে যায়।
৫. ফার্মেন্টেড ফুড-
ফর্মেন্টেড ফুড বা অঙ্কুরিতখাওয়ার আমাদের শরীরে মেটাবলিক সিস্টেম
বদলে দিতে পারে। অর্থাৎ এটি আমাদের পাচন ক্রিয়ার সিস্টেম উন্নত রাখে। কারণ অঙ্কুরিত
ছোলা কিংবা মটরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি
ব্যাকটিরিয়াল যা শরীরের খারাপ অভ্যাসগুলিকে বদলে দিতে পারে।
এছাড়া এর সঙ্গে মাশরুম, জাম, পেয়ারা, পাকা কলা, ডিম নিয়মিত খেলে
শরীরের পুষ্টি হবে দৃঢ়। যার ফলে শরীরে যেকোনো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। আর আপনিও
স্বচ্ছন্দে হেসে খেলে কাটাতে পারবেন বাকি জীবন।