দাম কমছে পিঁয়াজের! স্বস্তিতে মধ্যবিত্তের হেঁসেল

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গ্রীষ্ম পড়ার সাথে সাথে চাষীর ঘরে উঠতে শুরু হয়েছে পিঁয়াজ। কিন্তু সংরক্ষনের ব্যবস্থা নেই মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন এলাকায়। ফলত নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন হাটে বাজারে তা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সূত্রের খবর, ঐ জেলা গুলিতে ১৬হাজার ৭০০হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ চাষ হয়। তার মধ্যে শীতকালীন পিঁয়াজ চাষ হয় ৬হাজার হেক্টর জমিতে। এখন বর্তমানে সেই পিঁয়াজ উঠতে শুরু হয়েছে। কিন্তু ফলন কম। চাষীদের দাবী, আবহাওয়া খামখেয়ালি, বিশেষ করে শীতকালে একাধিক বৃষ্টি হওয়ায় সেইমতো ফলন উৎপাদন হয়নি। অন্যান্য বছরে প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫-৪০কুইন্টাল পিঁয়াজ উৎপাদন হত বর্তমানে তা কমে ২৫-৩০কুইন্টালে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু উৎপাদন হওয়ায় মিলছে না সংরক্ষনের ব্যবস্থা। মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ,আর চাষীরা পাচ্ছেন সেই পিঁয়াজের দাম বড়োজোর ৬-৭টাকা।
এলাকার এক নওদার চাষী রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন," বিকল্প উপায় না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই পিঁয়াজ চাষ করতে হচ্ছে। কিন্তু একদিকে ফলন কম, অন্যদিকে খরচ বাড়ছে প্রায় দ্বিগুন। খরচের টাকাটুকুই উঠছে না।" জুলফিকার নামে এক চাষী বলেছেন," পিঁয়াজ সংরক্ষণ করে দাম বাড়লে বিক্রি করবো, তারও কোনো উপায় নেই। তাই কম দামেই পিঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।"

এরই মধ্যে দাম বাড়ছে পাতিলেবুর। বেলডাঙা এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে পাইকারি দাম লেবু পিছু ৪-৫ টাকা। এর সেটি খুচরো বিক্রি হচ্ছে ৮-১০ টাকা পিসে। লেবু বিক্রেতাদের দাবী বৃষ্টি না হওয়ায় এই দাম তবে পরে তা আরও বাড়বে। শেষ বৃষ্টি হয়েছে ফাল্গুনে চৈত্রে সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি ফলে পাতিলেবুর উৎপাদন কমছে। তাই এই চড়া দাম। এ দাম পরে আরও বাড়তে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে কালোবাজারি রুখতে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদের বিধায়ক তথা রাজের উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা জানিয়েছেন," পিঁয়াজ সংরক্ষনের বন্দোবস্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।" এই ব্যবস্থা চালু হলেই চাষীরা ন্যায্য মূল্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

Journalist Name : Sayani Chatterjee

Related News