ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। প্রধানমন্ত্রীর মত অনুযায়ী প্রধান চিন্তা যুব সমাজকে নিয়ে। যুবসমাজ যদি বিপদে না যায় তাই ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিয়ন্ত্রণ আনা খুবই জরুরী। তবে এক্ষেত্রে সমস্ত দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এমনটাই মত প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার সিডনিতে প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বিবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন যে “ ডিজিটাল মুদ্রা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা নিয়ে সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশ কে একসঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে যা তে বর্তমান যুবসমাজ বিপথে না চলে যায়।ʼʼ
এর আগেও ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বৈঠক হয়। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল যে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি কে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে কিন্তু বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি তে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা প্রায় কয়েক লক্ষ তাই তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করলে ক্ষতি হতে পারে অনেকের। সবকিছুকে সামনে রেখেই সংসদীয় কমিটি ঠিক করেছে সম্পূর্ণ বন্ধ না করে তাতে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঝুঁকি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করবে। সেই কথা অনুযায়ী এমনটাই বোঝা গিয়েছিল যে তারা ডিজিটাল মুদ্রা কে অর্থ রুপে নয় সম্পদ রূপে স্বীকৃতি দেবে। অর্থাৎ যেমন শেয়ার, সোনার গয়না প্রভৃতি আমরা সম্পদরূপে ব্যবহার করি এবং দরকারে তা বিক্রি করে অর্থও লাভ করতে পারি ঠিক তেমন। তবে তা করলেই যে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকবে না এমনটাও নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি তে বিনিয়োগ দিন দিন বেড়েই চলেছে তবে তার সাথে বাড়ছে ঝুঁকি সম্ভাবনাও। সামান্য একটি ভুলের কারণে উধাও হয়ে যেতে পারে সমস্ত অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স। তাই এই নিয়ে দ্রুত তৎপর হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান যুগে সবই ডিজিটাইজেশন হওয়ার ফলে পরিবর্তন এসেছে অনেক কিছুতেই তাই এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, “ এই ডিজিটাল যুগে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে প্রতিযোগিতা এবং ক্ষমতা তাতে নতুন আকার দিচ্ছে। বাড়ছে আমাদের জীবনে ঝুঁকির পরিমাণ। সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ।ʼʼ
বর্তমান তথ্য এবং প্রযুক্তিতে মানুষ যেভাবে এগিয়ে চলেছে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন “ গণতন্ত্রের শক্তি হলো স্বচ্ছতা তবে সেই স্বচ্ছতার অপব্যবহার কখনই করতে দেওয়া যায় না।ʼʼ কয়েক দিন আগেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে মত প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সিডনিতে এই নিয়ে দুবার তিনি জনসম্মুক্ষে ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন। তার প্রতি ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে পদক্ষেপ না নিলে বাড়তে পারে সন্ত্রাসবাদের পরিমাণ। অর্থমন্ত্রক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকের পর জানা যায় সরকার ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে খুব কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিয়োগ পদ্মা যাতে ভুল পথে না যাই তাতেই এই সিদ্ধান্ত।