বাঙালির শীত আর গুড়ের মধ্যে রয়েছে এক গভীর সম্পর্ক। বিশেষ করে নলেন গুড়। তবে গুড় যে শুধু মাত্র রসনা তৃপ্তি করে তাই নয় এতে রয়েছে হাজারো উপকারিতাও। তাই গুড়কে ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাতেও গুড়ের ব্যবহার রয়েছে। তবে হাজারো পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এই গুঁড়ে রয়েছে নানান সাইডইফেক্টও। যা অনেকেরই অজানা। তাই শীতে পিঠে পুলির স্বাদ নিতে গুড় খান তবে রয়ে সয়ে। জেনে নিন অতিরিক্ত গুড় খাওয়ার কিছু স্পর্শপ্রতিক্রিয়া।
১। নাক থেকে রক্ত পড়া-
চিকিৎসকদের মতে গুড় খুবই গরম। তাই অত্যাধিক পরিমানে গুড় শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে শরীর শুকিয়ে যায় নাক থেকে রক্ত পড়ার প্রবণতা বারে। তাই গরমের দিনে গুড় নৈব নৈব চ। শীতের খেলেও তা পরিমান মতো।
২। ওজন বাড়াতে পারে-
গবেষণা থেকে দেখা গেছে প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে আছে ৩৮৫ ক্যালরি, এছাড়াও গুড়ে রয়েছে প্রচুর পিরিমানে কার্বোহাইড্রেট। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় আছেন গুড় তাঁদের জন্য উপকারী নয়। সামান্য পরিমাণে খেলে সমস্যা হবে না। তবে অতিরিক্ত খেলে তা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। গুড়ে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি।
৩। রক্তে শর্করার মাত্ৰা বাড়ায়-
অনেক সময় চিকিৎসকরা চিনির বদলে গুড় খেতে বলেন। কারণ চিনির চেয়ে গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। তবে পরিমানের বেশি খেলে এটি রক্তে শর্করার মাত্ৰা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪। হজমের সমস্যা বাড়ায়-
গুড় খেলে তা পুরোনো গুড় খান। কারণ সদ্য তৈরি গুড় খেলে ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। যা হজম ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি কষ্টকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ায়।
৫। শরীরে ফোলা ভাব বাড়ায়-
যাদের শরীরে ফোলাভাবের সমস্যা থাকে তাদের গুড় খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ গুড়ে সুক্রোজ বেশি থাকে, যা আপনার ফোলা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৬। শরীরে জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ায়-
গুড় তৈরির পদ্ধতিটি অনেক সময়ই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয়। তাই গুড় থেকে অন্ত্রে বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। আর এই জীবাণু সংক্রমণ থেকে স্বাস্থ্যহানি কিংবা শারীরিক জটিলতা হতেও পারে, তাই গুড় খান তবে ভালো মানের ও তা পরিমান মতো।
এছাড়াও মাছ আর গুড় কখনোই একসাথে খাবেন না কিংবা যাদের পরিপাকতন্ত্রে আলসারের সমস্যা আছে তাদের জন্য গুড় খাওয়া একদমই উচিত নয়।