ভারত-চীন সীমান্ত অর্থাৎ LAC নিয়ে দুই দেশের বিবাদ বহু প্রাচীন, সম্প্রতি ২০২০ সালে যখন গোটা বিশ্ব করোনা মহামারির কবলে জর্জরিত ঠিক সেই সময় আমরা দেখেছি ভারতের গালওয়ান উপত্যকাই চীনা সেনার আগ্রাসন, যার জন্য আমরা হারিয়েছি বীর যোদ্ধাদের প্রাণ। কিন্ত ভারতের অরুণাচল প্রদেশে চীন এক গ্রাম স্থাপন করেছে বলে জানা গিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বার্ষিক রিপোর্টে, তবে এই গ্রাম যে-সে গ্রাম নয়, এই গ্রামের বাসিন্দা খোদ চীন সেনা।
অরুণাচল প্রদেশ ছিটমহলের এই খবর প্রথম জানা যায় উপগ্রহের মাধ্যমে, এরকমটাই জানায় দিল্লিভিত্তিক টেলিভিশন এনডিটিভি। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর থেকেই ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার পরে যায়। জানা গেছে চীন সেনা যেখানে গ্রাম স্থাপন করেছে সেই স্থান ১৯৬২ সালের আগে ভারতীয় সামরিক ক্যাম্প ছিল, কিন্ত ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের পর সেই এলাকা চীনের কবলে চলে যায়।
অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবনসিরি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিজে বোরাহ এ বিষয়ে বলেন, “তারা বেশ কিছুদিন ধরেই চীনের ওই এলাকায় বেশ কিছু নির্মাণ লক্ষ্য করছেন এবং সেই গুলি যথা সম্ভব সামরিক কাজে ব্যবহার করার জন্য তৈরি। সূত্র অনুযায়ী সেই স্থানে প্রায় ৬০ টির কাছাকাছি নির্মাণ থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও নির্মাণ গুলি খুব বেশিদিন আগের নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।ʼʼ
তবে শুধুমাত্র ভারতের জমি নয়, চীন সেনা তিব্বতের জমি অধিগ্রহণের চেষ্টাও চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে এই রিপোর্ট। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মতে চীনা গ্রামটি LAC এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের মধ্যেই অবস্থিত। খবর সূত্রে জানা যায় যে 2019 সালের এমন গ্রামের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাহলে এই কদিনের মধ্যেই রাতারাতি কি করে একটি গ্রাম তৈরি হয়ে গেল তা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। চীন রা যে তাদের সীমা লংঘন করছে তা প্রথম এনডিটিভির মাধ্যমে এই বছরের জানুয়ারি মাসে উঠে আসে। চীনের এই এই ধরনের তৎপরতায় কড়া জবাব জানায় ভারত সরকার। তবে জানা যায় যে সীমান্ত বরাবর বেশ কয়েক বছর ধরেই চীনের বসবাস করে তোলার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই নিয়ে অবশ্য অরুণাচলের উপ মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।