পাকিস্তান-বাংলাদেশের বিভাজন দুর্ভাগ্যজনক": ইমরান খান

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

একান্ন বছর আগে বাংলাদেশ পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে নতুন দেশ হিসেবে গড়ে উঠেছিল। এই ঘটনাকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শুক্রবার প্রথমবার জনসমক্ষে আসেন ইমরান। লাহোরের হাসপাতালে উইলচেয়ারে বসেই প্রায় এক ঘণ্টা ভাষণ দেন ইমরান। তাঁর বাঁ পায়ে মোটা করে ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছে। সেই পা তুলে রেখে ভাষণের সময় পাকিস্তানি সরকারকে তুমুল আক্রমণ শানান ইমরান। তাঁর নিশানায় ছিলেন মূলত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তথা তাঁর উত্তরসূরি শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, “18 বছর বয়সে, আমি বাংলাদেশে একটি প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। ভারতের বিপক্ষে আমরা দুটি ম্যাচ জিতেছি। যেটা আমাকে অবাক করেছিল সেটা হল স্টেডিয়ামের ভিতরে এবং বাইরের প্রত্যেক বাংলাদেশি 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' বলে স্লোগান দিচ্ছিল। সেদিন, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতা সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।"  খান বলেন, "এখন, তারা আমাকে নির্মূল করে আবার এটি করার চেষ্টা করছে - পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় নির্বাচিত দলকে ধ্বংস করার জন্য।" খান শুক্রবার বলেছিলেন যে তিনি সুস্থ হওয়ার পরে ইসলামাবাদে তার প্রতিবাদ মিছিল আবার শুরু করবেন যদিও তার সমর্থকরা দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে যা প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতার ইতিহাস সহ দেশে দুই বন্দুকধারী তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, ইসলামাবাদ থেকে প্রায় 170 কিলোমিটার (106 মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে ওয়াজিরাবাদে বৃহস্পতিবারের হামলায় একজন নিহত এবং 11 জন আহত হয়েছে। খান আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যর্থ হত্যার চেষ্টা পাকিস্তানের জনগণকে শ্রীলঙ্কার মতো রাস্তায় নামতে বাধ্য করবে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেন, ধর্মীয় ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে তাঁকে খুনের ছক তৈরি করা হয়েছিল। তিনি ধর্মীয় বিরুদ্ধাচরণ এবং হজরত মহম্মদের অবমাননা করেছেন বলে ছড়িয়ে দেওয়া হত। তারপর তাঁকে খুন করিয়ে বলা হত যে কোনও ধর্মীয় উগ্রপন্থী সেই ঘটনায় জড়িত আছে। তবে সেই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পেশ করেননি পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। যিনি চলতি বছর সংসদে আস্থাভোটে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি খুইয়েছিলেন। "হয় আমাদের শান্তিপূর্ণ বিপ্লব হবে না হয় রক্তাক্ত হবে," সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মানুষ শ্রীলঙ্কার মতো রাস্তায় নামবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।”

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News