ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে জট ক্রমেই বাড়ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতির পথ না দেখিয়েই রাজস্ব সচিব তরুণ বজাত বলেছেন ক্রিপ্টোকারেন্সি কে বা ডিজিটাল মুদ্রাকে করের আওতায় আনা হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে ডিজিটাল মুদ্রা কে অর্থ রূপে নয় সম্পদ হিসেবে ব্যবহারের স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ সোনার গয়না বা শেয়ারের মতই ডিজিটাল মুদ্রা কে সম্পদ রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিট কয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক এবং এতে যুবসমাজই বেশি। তাই এই প্রকার লেনদেনে ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ডিজিটাল মুদ্রায় কিছু নিষেধাজ্ঞা আনা আবশ্যক।
রাজস্ব
সচিব তরুণ বজাজের দাবি বিটকয়েনের মতন ডিজিটাল মুদ্রা থেকে আয় করছে বহু মানুষ তাই এতে কর আদায়ের নিয়ম
না থাকলেও প্রায় একাংশ কর দিচ্ছে। তবে
ভারতে বিটকয়েনের মত ডিজিটাল মুদ্রা
কে স্বীকৃতি দিতে হলে তাকে আয়করের নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরী কারণ আমাদের দেশে অনুমতি ব্যতীত বা কর ব্যতীত
যে টাকা ব্যবহার করা হয় তাকে কালোটাকা রূপেই গণ্য করা হয়। তাই বিটকয়েন থেকে বা ডিজিটাল মুদ্রা
থেকে প্রাপ্ত অর্থের ওপর কর দিচ্ছেন বহু
মানুষ।
ডিজিটাল মিটার উপর যে কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে সেই সিদ্ধান্ত সরকার আগেই নিয়েছিল। কিন্তু ঠিক কিরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তার ওপর ঝুঁকি কমানো যাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার সংসদীয় কমিটি। এদিকে ডিজিটাল মুদ্রার ওপর সরকারের বা সরকারি কোন ব্যাংকের হস্তক্ষেপ না থাকায় তার ব্যবহার হয়ে ওঠে লাগাম ছাড়া। অর্থাৎ যে কেউ যখন খুশি বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বসে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন করতে পারে। ডিজিটাল মুদ্রা কেনার জন্য অনেকগুলি ওয়েবসাইট আছে যা থেকে খুব সহজেই কেউ মনে করলে বিট কয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রা কিনে নিতে পারে। থাকেনা সরকারের নজরদারি। ফলে ঝুঁকি সম্ভাবনাও কিন্তু খুবই বেশি। তবে যেহেতু লেনদেন ব্লকচেইনের মাধ্যমে হয় তাই কখন কি কোথায় ওয়ালেট এর মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করছে এবং কোন খাতে তা ব্যবহার করছে সহজেই ধরা যায় উপযুক্ত পদ্ধতিতে।
এছাড়াও
তরুণ বজাজ বলেন এই ডিজিটাল মুদ্রার
সাথে যুক্ত বিভিন্ন ব্রোঞ্জ , সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের থেকে
জিএসটি আদায়ের কথাও ভাবছে সরকার। তবে অর্থের পরিবর্তে
সম্পদ
রূপে ব্যবহার করলে বা ডিজিটাল মুদ্রার
ওপর করের ভার চাপালেই যে ঝুঁকি সম্ভাবনা
কমে যাবে তা কতটা যুক্তিযুক্ত
তা প্রশ্ন লেনদেনকারীদের কাছে। তবে লক্ষাধিক লেনদেনকারীর কথা মাথায় রেখে এবং সুরক্ষার কথা ভেবে ডিজিটাল মুদ্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা জরুরি বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় সরকার ও সংসদীয় কমিটি।
তাতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে ব্যবহারকারীর লক্ষাধিক ছুঁয়ে যাওয়া সংখ্যা।