বাঙালির রান্নাঘরে থাকা জনপ্রিয় মশলা গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো জিরে। এটির স্বাদ ও গন্ধ যেমন রান্নার স্বাদ বাড়ায় তেমনই এতে আছে নানান উপকারিতাও। তাই তো ওজন কমাতে কিংবা হজম ক্ষমতা বাড়াতে বা ডায়াবেটিস রোগীদের সকালে উঠে খালি পেটে জিরের জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে শুধু স্বাস্থ্য উপকারিতা নয়। জিরে ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য্য বাড়াতেও সমান ভাবে কার্যকরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক জিরের জলে কিভাবে করবেন রূপচর্চা।
১। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে-
জিরেতে আছে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ উপাদান। আর এই সমস্ত উপাদান আপনার ত্বককে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে। তাই এই শীতেও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে মুখ ধোয়ার সময় ব্যবহার করুন জিরে ভেজানো জল।
২। ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধ করে-
জিরেতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই। যা ত্বকে বলিরেখার উপস্থিতি কমায়। ত্বক টানটান রাখে। তাই অকাল বার্ধক্যতা কমাতে নিয়মিত পান করুন জিরে ভেজানো জল।
৩। ব্রণ কমায়-
জিরেতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলির সাথে লড়াই করে এবং ব্রণকে শান্ত করতে সাহায্য করে। তাই পরিষ্কার, কোমল এবং ব্রণ মুক্ত ত্বক পেতে বেছে নিন জিরে ভেজানো জল।
৪। ত্বকের ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে-
ত্বকের সমস্যার পেছনে অনেক সময় দায়ী থাকে ফ্রি র্যাডিকেল বা টক্সিন। তাই রোজকার খাদ্য তালিকায় রাখুন জিরে ভেজানো জল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করা অনেক সহজ করে তোলে। তাই, জিরা জলে চুমুক দিলে তা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে।
৫। চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করে-
জিরে জলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা চুল পড়া, খুশকি ও চুল কোঁকড়ানো মতো সমস্যা দূর করে।
তবে জিরের জল বানিয়ে খাবেন কিভাবে-
জিরে জল বানানোর জন্য একটা পাত্রে জল গরম করে তাতে প্রয়োজন মতো জিরে দিয়ে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন যতক্ষণ না জলের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে। তারপর সেই জল ঠান্ডা করে খালি পেতে পান করুন।