#Pravati Sangbad Digital Desk:
স্বাস্থ্য ভবনের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। চড়া দরে ওষুধ কিনে কার্যত নষ্ট করা হয়েছে রাজ্য সরকারের টাকা। ট্যাবলেট পিছু ২ টাকা দরে যে ওষুধ কেনা যেত, সেটাই দিনের পর দিন ১২ টাকারও বেশি দাম দিয়ে কেনা হয়েছে।আর এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজ্যের কোষাগারের প্রায় ৫০ কোটি টাকা ‘লুঠ’ হয়েছে বলে অভিযোগ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এ ভাবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চড়া দরে ডায়াবিটিসের ওষুধ কেনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ডায়াবিটিসের একটি ওষুধের জেনেরিক প্রোডাক্ট না বেরনোয় প্রতি ট্যাবলেট ১২ টাকা ৪৩ পয়সা দরে কিনেছিল সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর (সিএমএস), যা জেনেরিক ওষুধের দামের তুলনায় বেশি। পরে সংশ্লিষ্ট ওষুধের জেনেরিক প্রোডাক্ট বাজারে এসে যাওয়ার পরও সেই ১২ টাকা ৪৩ পয়সা দরেই কেনা হচ্ছিল ওই ওষুধ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১২ টাকা ৪৩ পয়সা দরেই ডায়াবিটিসের ওষুধটি কিনেছে স্বাস্থ্য ভবন। যার ফলে সরকারের ঘর থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৫০ কোটি টাকা বেরিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২১ সালের শেষে বিষয়টি নজরে আসার পরে সবকটি মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে 'স্টপ পেমেন্ট' করতে বলা হয়।স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা সংশ্লিষ্ট বিভাগের তরফে তদন্ত করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'কার গাফিলতিতে দিনের পর দিন এ ভাবে সাধারণ মানুষের করের টাকা নষ্ট হল, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, মার্কেটে প্রত্যেকটি ওষুধের একটি জেনেরিক প্রোডাক্ট থাকে আর যে সংস্থা সেই প্রোডাক্ট সবচেয়ে কম দামে বিক্রয় করে, তাদের থেকেই সেটি কিনে নেয় সরকার। একমাত্র এটি বাজারে উপলব্ধ না থাকলেই অন্য ট্যাবলেট চড়া দামে কিনতে বাধ্য হয় তারা। কিন্তু প্রায় এক বছরের উপর সময় ধরে কমদামি জেনেরিক প্রোডাক্ট মার্কেটে থাকলেও কেন বেশি দামে ট্যাবলেট কিনে চলছিল স্বাস্থ্য ভবন, তার কোনো সদুত্তর মেলেনি।
এই ঔষধের নিয়ম হল, প্রত্যেক ওষুধের একটা জেনেরিক প্রোডাক্ট থাকে, সেই প্রোডাক্টই বাজারে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি করে। আর সরকার সেই সংস্থার থেকেই ওষুধ কেনে যারা জেনেরিক প্রোডাক্ট সবথেকে কম দামে দেয়। আর যদি জেনেরিক প্রোডাক্ট না থাকে, তাহলে অপেক্ষাকৃত চড়া দামে কিনতে হয় ওষুধ। সেই সময়টাকেই বলা হয় প্রোপাইটরি পিরিয়ড।
Journalist Name : SRIJITA MALLICK