ঠাণ্ডা, সর্দি, জ্বর দূর করে পুদিনা পাতা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বাড়ির হেঁসেলে বানানো নানা পদ পরিবেশনের সময় পুদিনা পাতা দিয়ে সাজানো তো হয়-ই,  এছাড়া পুদিনার চাটনি বানিয়ে শিঙাড়ার আস্বাদ নেওয়া এখন নিত্য ঘটনা। রান্নায় পুদিনা পাতার কদর তো আছেই, কিন্তু ঔষধি হিসেবে এই পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। যা অনেকেরই অজানা। নিরোগ থাকতে প্রতিদিন পুদিনা পাতার শরবত খেতে পারেন।
বহু বিজ্ঞানীদের দাবি, পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার পেরিলিল অ্যালকোহল যা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।সর্দি হলে নাক বুজে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো মারাত্মক কষ্ট পান অনেকেই। সেই সময় যদি পুদিনা পাতার রস খান, তাহলে এই কষ্ট থেকে রেহাই পাবেন নিমেষে।
যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাদের তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে সেই জলেরর ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নিতে অসুবিধা হলে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন। হঠাৎ করে কোথাও ব্যথা লাগলে ,সেই ব্যাথা সারানোর জন্য পুদিনা পাতার রস খুব উপকার। এক ইঞ্চিমাপের আদা স্লাইস করে নিয়ে,এক মুঠো পুদিনা ভালো করে ধুয়ে ,এক বোতল জলে দুটোকে একসঙ্গে ফোটাতে আরম্ভ করুন। এক কাপের মতো পরিমাণ হলে গ্যাস বন্ধ করে আধ কাপ মধু মিশিয়ে নিয়ে,একটু উষ্ণ থাকতে থাকতে পান করুন। পুরোটা একেবারে খাওয়ার দরকার নেই, কিন্তু যখনই খাবেন, তখন একটু গরম করে নেবেন। এতে আপনার ঠান্ডা লাগলে কফটা পাতলা হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা পেটের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত। গরমকালে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখাতে পুদিনার রস খুব ভাল। স্নানের আগে জলের মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন। সেই জল দিয়ে স্নান করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে। হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা খাবার খাওয়ার পর ১ কাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরের মধ্যেই।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News