#Pravati Sangbad Digital Desk:
করোনার প্রভাব এবার ওষুধের বাজারেও। ভারতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস।এমন পরিস্থিতিতে দেশে যাতে ওষুধের ঘাটতি না হয় তাই প্যারাসিটামল-সহ প্রায় ২৬টি ওষুধ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। আর এর ফলে আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। কারণ প্যারাসিটামলের মতো ব্যথা উপশমকারী ওষুধ সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত হয় ভারতে। এখন ভারত যদি হাত গুটিয়ে নেয় তবে চাহিদার তুলনায় জোগান হবে যৎসামান্য।এদিকে প্যারাসিটামল গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ওষুধ। যে কোনও ব্যথা উপশমে প্রথমে এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।বিক্রেতাদের দাবি, গত কয়েক দিনের মধ্যে এই জাতীয় ওষুধের বিক্রি এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে জোগান আর চাহিদার মধ্যে দেখা দিচ্ছে বিস্তর ফারাক। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তাঁরা জানিয়েছেন, দু'মাস আগে অর্ডার দেওয়া থাকলেও, মিলছে না ওষুধ। প্যারাসিটামল ওষুধটি এখন ঘরে ঘরে। বিশেষত, করোনার সময়ে এই ওষুধের ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে। প্রতিটা মানুষ এই ওষুধটি খাচ্ছেন। তবে গবেষণা বলছে, এই ওষুধ খেলে বাড়তে পারে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি।সর্দি-কাশি, মাথা ব্যথা, জ্বর, গায়ে হাতে ব্যথা হলেই প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। নিমেষেই শারীরিক স্বস্তি প্রদান করতে পরিচিত এই ওষুধ। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গেছে, এই ওষুধটি একটানা খেলে রক্তচাপ বাড়ে। ফলে বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই গবেষকরা জানিয়েছেন, রক্তচাপ কিংবা হার্টের রোগীদের প্যারাসিটামল দেওয়ার আগে সাবধান হতে হবে চিকিৎসকদের।
সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা ১১০ জন উচ্চ রক্তচাপের রোগীর উপর প্যারাসিটামল নিয়ে একটি ট্রায়াল চালান। তাদেরকে দুই সপ্তাহ ১ গ্রাম করে প্রতিদিন চারবার প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয়। দেখা যায়, চারদিনের মধ্যেই এই রোগীদের রক্তচাপ লক্ষ্যণীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে। যা প্রায় ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা।ব্রিটেনে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনকে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য প্রতিদিন প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। যেখানে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডেভিড ওয়েব জানিয়েছেন, আইবুপ্রোফেন-এর মতো ওষুধ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই চিকিৎসকরা রোগীদের প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটাই নিরাপদ বিকল্প বলে সবসময় ভাবা হয়। কিন্তু এবার প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও ভাবা উচিত। এই ওষুধ কিন্তু হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তাই, এবার হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের প্যারাসিটামলের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।
Journalist Name : SRIJITA MALLICK