বর্তমানে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আতঙ্কের নাম ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সদ্য মন্ত্রিত্ব হারানো পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বীরুধে অভিযোগ ছিল এসএসসি দুর্নীতির, তারই তদন্তে গ্রেফতার করা হয় তাকে। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গের নেতা মন্ত্রীরাই নন, এবার ইডির হাতে গ্রেফতার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
গতকাল স্বমহিমায় নিজেদের স্বরুপ নিয়ে সকাল হতে না হতেই সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রতিনিধি দল, সাথে ছিল সিআরপিএফ জাওয়ানরাও। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব, তার পরেই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রাউতকে। এ নিয়ে বিরোধীদের মন্তব্য অবশ্য, “ কেন্দ্রীয় সরকার ইডিকে নিজেদের ইচ্ছেমত ব্যাবহার করছে রাজনৈতিক সম্পত্তি ভেবে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিৎ”। উল্লেখ্য, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বীরুধে অভিযোগ ছিল বেআইনি আর্থিক তছরুপের, এই নিয়ে একাধিকবার সঞ্জয় রাউতকে সমনও পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, তবে প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরের দুই বার হাজিরা এড়িয়েও যান সঞ্জয় রাউত। ২০শে জুলাই সঞ্জয় রাউতকে আবার ডেকে পাঠানো হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে, কিন্তু সাংসদে অধিবেশনে ব্যাস্ত থাকার কারন দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। তার পরেই সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শিবসেনা সাংসদের বীরুধে অভিযোগ ছিল, ২০০২ সালে মুম্বাইয়ের একটি কমপ্লেক্স করতে গিয়ে বিপুল পরিমানে আর্থিক দুর্নীতি করেছেন তিনি, সঞ্জয় রাউতের সাথে নাম জড়িয়েছিল সহকারী প্রবীণ রাউতেরও। এদিন সকাল থেকে দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ।