ভার্চুয়াল মুদ্রার অবস্থান ভারতে কোথায়! আদেও কি নিরাপদ এই লেনদেন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ডিজিটাল লেনদেনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি। যাতে কোনো সরকারি হস্তক্ষেপ নেই বা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। ভারতের লক্ষাধিক লেনদেন কারী যুক্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির সাথে। এই ডিজিটাল কারেন্সি তে কোন সরকার বা রাষ্ট্র উৎপাদন সরবরাহ করে না। ক্রিপ্টোকারেন্সি t1 একটি কয়েন তৈরি করতে জটিল অ্যালগরিদম ব্লগ এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি অনুসরণ করতে হয়। যে যেমন খুশি এই কারেন্সি ব্যবহার করতে পারে এর জন্য কোন ব্যাংকে এটিএম এর দরকার পড়ে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইন শপিং ব্যবহার হয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সি। কিন্তু টাকা রুপি ইউরো ডলার পাউন্ড ইত্যাদির মত যত খুশী সরবরাহ হয় না এই কারেন্সি একটি নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা আছে। নির্দিষ্ট পরিমাণে কয়েন জেনারেট করা যায়। সূত্রের খবর ১০ কোটিরও বেশি ভারতীয় নাগরিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ করছে এবং এর মধ্যে বেশিরভাগই যুবসমাজ বা অল্প বয়সে। ক্রিপ্টোকারেন্সি মোট বিনিয়োগ ২০২১ সালের শেষে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে যায় এক বছর আগেও ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম ছিল।


তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির নিরাপত্তা কতটা তা নিয়ে চিন্তিত সরকার। নভেম্বরের মাঝামাঝি সিডনিতে একটি ভার্চুয়াল মিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ক্রিপ্টোকারেন্সি ঠিক পথে আনার জন্য সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশকে এক হতে হবে। ক্রিপ্টোকারেন্সি আমাদের যুব সমাজকে নষ্ট করতে পারে। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ এ ব্যবহৃত হচ্ছে ক্রিপ্টো এমনটাই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। অধিক আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে যুবসমাজকে ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে।


এই বছরই বর্ষাকালীন অধিবেশন এবং বাজেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে প্রথম উপস্থাপনা করেন সরকার। একবারে ঠিক হয় শীতকালীন অধিবেশনে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বিল পেশ করা হবে। এবং এই বিলে বলা হয় যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্য একটি ঝুঁকিহীন কাঠামো তৈরি করতে চায়। ভারতে সমস্ত রকমের ব্যক্তিগত ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করা হবে কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি অন্তর্নিহিত কিছু প্রযুক্তিতে ব্যতিক্রমও রাখা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সরকারি সূত্র বলেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর নীতি গুলির মধ্যে একটি তৈরি করা হবে। বিনিয়োগকারীদের হোল্ডিং নিষ্পত্তি করার জন্য একটি উইন্ডো দেয়া হবে এবং যার জন্য জরিমানাও চালু করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে। ক্রিপ্টোকারেন্সি কে কোন ভাবি নি মুদ্রা হিসেবে চিহ্নিত করা হবে না কারণ এটি সমস্ত দেশের মুদ্রা এবং কর ব্যবস্থার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।


বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি কে নিষিদ্ধ করেছে যার মধ্যে রয়েছে আছে চীন। বেশিরভাগ দেশে সরকারেরই চিন্তার কারণ ডিজিটাল মুদ্রাগুলি সরকারি মুদ্রা করার এবং আর্থিক নীতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা তৈরি করবে। অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে ক্রিপ্টোকারেন্সি কে আইনিভাবে স্বীকৃতি দিতে বিবেচনা করা হবে এবং অবৈধ ব্যবহার যথা সম্ভব হবে বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। তবে ডিজিটাল মুদ্রা সম্পর্কে বরাবরই কমিটি সুপারিশ দিয়েছিল সরকারি অনুমতি ব্যতীত যেকোনো ব্যক্তি গত ডিজিটাল মুদ্রা কে নিষিদ্ধ করা হবে।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News