কোটাক ওয়াজির-এক্স একসাথে, এগিয়ে রইল ক্রিপ্টোর লেনদেন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ভারতে সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন নিয়ন্ত্রিত হতে পারে এমনটা ধারণা নিয়েই এগোচ্ছে। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্য প্রথম আর্থিক ব্যাংক হিসেবে এগিয়ে এলো কোটাক ব্যাঙ্ক। দেশের বিভিন্ন হাই স্টেট ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকারীদের অর্থ প্রদান করা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও তারা ডিজিটাল মিটার শেয়ারগুলিও এড়িয়ে চলেছে বিগত কয়েক মাস। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোটাক ব্যাঙ্ক ওয়াজির-এক্স এগিয়ে এসে ক্রিপ্টোর এক্সচেঞ্জে বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে। ওয়াজির-এক্স কোটাক এর সাথে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে যেখানে ট্রেডিং বিনিয়োগকারীরা এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করতে পারবে এবং অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহার করতে পারবে সেই একাউন্ট। সেই পরিষেবা এখনো চালু করা হয়নি তবে খুব শীঘ্রই কেওয়াইসি বিভিন্ন নদী এবং সবকিছু পরীক্ষা সম্পন্ন করে বিভিন্ন সচেতনতার মাধ্যমে তা তৈরী করা হবে।


১ বছর আগে ওয়াজিরএক্স আইসিআইসিআই ব্যাংকের সাথে যুক্ত একাউন্ট বন্ধ করে দেয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যক্তিগত ঋণদাতা ব্যাংক কে অনুসরণ করে। এদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সবসময়ই ব্যক্তিগত ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সচেতনতা প্রচার করে গেছে। ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন এমনটা ভেবে এস বি আই সহ অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি ব্যাংক এবং আরো অন্যান্য ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রেতাদের সাথে লেনদেনকারী অর্থের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করে। মে মাসে আইসিআইসিআই এর পেমেন্ট গেটওয় অপারেটরদের বলেছিলো যে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ডিজিটাল মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় এর সাথে জড়িত আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক নেট ব্যাঙ্কিং বন্ধ করে দেবে। আগস্টে দেশের বৃহত্তম ঋণদাতা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া পেমেন্ট প্রসেসর দের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন কারীদের ইউপিআই বন্ধ করে দিতে বলেছিল। এই ভাবী ইউপিআই প্লাটফর্মে ক্রিপ্টোকারেন্সি সমস্ত শেয়ার স্থগিত হয়। ওয়াজির-এক্স এর একটি বড় অংশ হল মোবিকুইক যা ডিজিটাল পরিষেবায় ডিজিটাল ওয়ালেট এবং পেমেন্ট পরিষেবা সংস্থার দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছে।


এই বছরের মে মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অন্য সমস্ত ব্যাংক গুলিকে স্পষ্ট করে দেয় যাতে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিয়োগকারীদের সমস্ত লেনদেন বন্ধ রাখে।  প্রথমত তো ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি স্বাধীন লেনদেন প্রক্রিয়া ছিল এতে সরকারি কোন ব্যাংকের হস্তক্ষেপ ছিল না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলা হয় ব্যাঙ্কগুলির সাথে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন সংযুক্ত হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় কেওয়াইসি এএমএল সিএফটি এমএলএ প্রতিটি দেখার পর ঝুঁকির সম্ভাবনা কতটা তা পরখ করে লেনদেন করা যেতে পারে।


অনেক লেনদেনকারী ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের পর ব্যাংকে কোন রকম টাকা রাখতে পারেনি কারণ ব্যাঙ্কগুলি সেগুলোতে অনুমতি দেয়নি। সরি ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগকারীদের যে টাকা তাতে তাদের কোনো রকম উন্নতি হয়নি। ব্যাংকগুলোর সেই টাকা রাখার অন্যতম কারণ হলো এর থেকে ব্যাংকগুলি কোন কমিশন পায় না।


তবে এই বিনিয়োগকারীদের জন্য কাজ করতে চায় কোটাক। যদিও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের অর্থ অন্যান্য সব তুলনার থেকে কম তবুও ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ক্রমবর্ধমান সম্পদ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে যদি সরকার এটাকে নতুন করে অনুমোদন করে। কোটাক ব্যাঙ্ক সেই সম্ভাবনার উপর কাজ করতে চায়। ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক অংশ গচ্ছিত রাখতে চায় কোটাক। zebpayএর মত ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সাথে যোগাযোগ সাধন করছে কোটাক এবং ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কোটাক এর ধারণা অনুযায়ী যদি আর্থিকভাবে ক্রিপ্টোর লেনদেন কারীদের অনুমোদিত করা হয় তাহলে উন্নতি সাধন হবে ডিজিটাল মুদ্রায়।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News