Flash news
    No Flash News Today..!!
Wednesday, May 15, 2024

পুরভোটের রণক্ষেত্র: মুখোমুখি পরেশ পাল

banner

#Kolkata:

১৯শে নভেম্বর পৌরসভার ভোট,আর ২১শে নভেম্বর সম্ববত পুরভোটের গণনা। প্রার্থীরা এখন ভোটের প্রচারে খুবই ব্যস্ত সকলে, দিনরাত খুব পরিশ্রম যাচ্ছে। জনকল্যাণের আশ্বাস দিয়ে ভোটের প্রচারে যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের উপকারে নিজেদের নিযুক্ত করছেন। এলাকাবাসী তাদের প্রিয় প্রার্থীর জন্য উচ্ছাসে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন, স্লোগান দিচ্ছেন, প্রার্থী রাস্তা ধরে এগিয়ে চলেছেন জনগণের বিশ্বাস-আশ্বাসের মান রাখতে।


এমনি এক প্রচারের ব্যস্ততার ফাঁকে, কলকাতা পুরো-নির্বাচনের ৩১নং ওয়ার্ডের তৃণমুল প্রার্থী এবং বিধায়ক পরেশ পালের মুখোমুখি প্রভাতী সংবাদ –

  • "আপনার রাজনৈতিক জীবনের সুত্রপাত হলো কিভাবে?”

       “পরিবারের সকলেই রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন,এখনো আছেন। মূলত আগে আমরা বামফ্রন্ট দলের সাথে যুক্ত ছিলাম। তারপর পরে একটা সময় আমি কংগ্রেস দলে যোগদান করি। আমি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলাম শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবো বলে, তাদের সেবা করাটাকেই আমি নিজের ধর্ম বলে মানি, এবং তার জন্যই এই রাজনীতিতে আমি পা রেখেছি।”


  • “কার অনুপ্রেরণায় আপনার রাজনীতিতে প্রবেশ?”

        “মাখন পাল(মাখন জেঠু),কংগ্রেসের প্রণব মুখার্জি, সোমেন মিত্র(সোমেন দা)এদের সাথেই আমি রাজনীতিতে প্রবেশ করে।

  • “আপনি আগে বামপন্থী ছিলেন পরে কংগ্রেস দলে যোগ দেন, তো এই কংগ্রেসে যোগদান করা নিয়ে বাড়িতে কোনো রকম কোনো বাধা পেয়েছিলেন?”

        “বাড়িতে তো শুধু আমি আর আমার মা থাকতাম। যখন কংগ্রেসে যোগ দি, তার আগেই মা মারা যান। তাই তখন কোনো বাধা পেতে হয়নি আমাকে। আমি যেই পার্টি করেছি, কোনোদিনের জন্য সেই পার্টির গায়ে কোনোরকম কোনো দাগ লাগাই নি। সব সময় চেষ্টা করে এসেছি কি ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।”


  • “নতুন প্রজন্মের যারা রাজনীতিতে যোগদান করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চাইবেন?”

        “নতুন প্রজন্মের জন্য কিবা বার্তা দেবো। তারা রাজনীতিতে আস্তে চায় শুধু কি পাবে পার্টির থেকে, কতটা কি নিয়ে নেওয়া যায় পার্টির থেকে এটাই শুধু ভাবে। মানুষের সেবা করবো, মানুষের পাশে দাঁড়াবো এই সব কিছুই নেই নতুন প্রজন্মের মধ্যে। আর তাছাড়া এখন নতুন প্রজন্ম রাজনীতিতে আসার সুযোগ তেমন করে কোথায় পাচ্ছে, সোর্স খাটিয়ে সবাই রাজনীতিতে আসছে। রাজনীতিতে এমন মানুষ আসা দরকার যার বা যাদের পুরোপুরি জ্ঞান আছে রাজনীতি নিয়ে, এখনকার তো রাজনীতির কিবা তেমন বোঝে।”

  • “বিরোধী দল বলছে যে আপনার এই ওয়ার্ডে নাকি অনেক রকম সমস্যা হয় এই যেমন জল ঠিক মতো পাওগাঁ যায় না, বিদ্যুৎ পরিষেবা তেমন নেই, রাস্তা-ঘাটের অবস্থাও তেমন ভালো নয়,এবং সেই গুলোর জন্য আপনি তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না-“

         “বিরোধী দল এই সব যা বলছে সেগুলো একদম সঠিক কথা নয়।আমার ওয়ার্ডে জলের সমস্যা আছে, কিন্তু মানুষের কথা ভেবে জলের ব্যবস্থা করা হয়। কারুর বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান থাকলে একবার বলাতেই সাথে সাথেই জলের ব্যবস্থা করা হয়।”


  • “সামনেই পুরভোট তো এবার জিতলে কি কি আরো কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে আপনার?”

        “পরিকল্পনা অনেক কিছুই রয়েছে এখন শুধু জেতার অপেক্ষা।তারপর একে একে পরিকল্পনা গুলো বাস্তবে রূপ দেওয়া শুরু হবে।”

  • “প্রচারে গিয়ে কি বুঝছেন, মানুষের কতটা কাছে পৌঁছে গেছেন?”

       “যা করছি মানুষের উপকারের কথা ভেবে করছি, আর জনগণ তো সবটাই দেখছে আর যা পরিণাম দেওয়ার ওনারাই দেবেন।”


  • “বিরোধীদের জন্য কোনো বার্তা দিতে চাইবেন?”

       “আমি এইটুকুই বলবো ওদের চৈতন্য হোক, ভালোকে ভালো বলুক। আর তাছাড়া বিরোধী কই এখন, সব সাফ হয়ে গেছে।”

  আজ ওনাকে বেশ ফুরে ফুরে মেজাজেই মনে হচ্ছিল, আর অনেকটাই স্বস্তিতে ছিলেন তিনি, তাঁর কথায় বোঝাই যাচ্ছিল উনি ভোটের আগে থেকেই নিজের জয় নিয়ে নিশ্চিত করে নিয়েছেন । 

Journalist Name : Payal Das

Tags:

Related News