গত শুক্রবার এর পরে প্রথম কাজের দিনে প্রায় ৯৫০ পয়েন্ট সেনসেক্স এর পতন হয় যা গিয়ে দাঁড়ায় ৫৬ হাজারের ঘরে। নিফটি হয় ১৬০০০ এ। ডলারের নিরিখে টাকার দরকার তাই নেমে আসে ৮ গত সপ্তাহে থেকে।
করোনাভাইরাস এর নয়া ভেরিয়েন্ট অমিক্রণ এর প্রভাবে অর্থনীতিতে বিভিন্ন বিধিনিষেধের আশঙ্কা করা হচ্ছে ফলে বাজারদর নেমে যেতে পারে এমনটাই সম্ভাবনা। জিডিপি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে নতুন শিল্প উৎপাদন জিএসটি সংগ্রহ বাণিজ্যিক উন্নতি এইসবই অর্থনীতির উন্নতির লক্ষণ। গত বুধবার ঘোষণা হয়েছে ঋণনীতি।
শুক্রবার দেশে প্রথম অমিক্রণ আক্রান্ত চিহ্নিত হওয়ার পরে সেনসেক্স ৭৬৮.৮৩ পয়েন্ট পড়েছিল। সোমবার সকালে লেনদেন শুরু হলে সূচকও নামতে থাকে দ্রুত হারে। দ্রুতহারে মাথা নামায় টেলিকম সংস্থার সহ বিদ্যুৎ স্বাস্থ্যপরিসেবা তথ্যপ্রযুক্তি গাড়িসহ প্রায় সমস্ত ক্ষেত্র । শেয়ারবাজারে লগ্নিকারী দের ৪.২৯ লক্ষ্য কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এইদিকে অর্থনীতির বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমেছে। ওমিক্রনের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে অর্থনৈতিক বাজারের কি অবস্থা দাঁড়াতে পারে তার দিকে তাকিয়ে লগ্নিকারীরা। আগামী কদিন অর্থনৈতিক বাজারে অস্থিরতা থাকবে এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার নয়া ভেরিয়েন্ট এর প্রভাবে শেয়ারবাজারে বেশ কিছুদিন অস্থিরতা থাকবে। তবে শুক্রবার ও সোমবার মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ পয়েন্ট সেনসেক্স এর পতন হলেও মঙ্গলবার ফের বেড়েছে ৮৮৬.৫১ পয়েন্ট। লগ্নি কারীরা ফিরে পায় ৩.৪৫ লক্ষ্য কোটি টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে এই মহামারী প্রভাবে। তাই চিন্তা বাড়াচ্ছে নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন। দেশে এখনো পর্যন্ত ৪ টি রাজ্য ও রাজধানী দিল্লিতে চিহ্নিত হয়েছে এই অমিক্রণ। বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী ডেল্টার থেকে কম প্রভাবশালী হবে ওমিক্রন। এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হবে না এমনটাই আশঙ্কা করেছে চিকিৎসকের একাংশ। তাই লগ্নিকারীরা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে নতুন ঋণনীতি বৈঠক হয় এবং বুধবার ঘোষণা হওয়া নতুন ঋণ নীতিতে শেয়ারের দর একই রাখার আশা করা হয়েছে। আমেরিকার শীর্ষ ব্যাংকের নীতি কেও নজরে রাখা হয়েছে ।
শেষদিন অনুসারে ৮৮৬.৫১ পয়েন্টে উঠে ৫৭৬৩৩৩.৬৫ অংকে দাঁড়ায় সেনসেক্স। নিফটি পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৭১৭৬.৭০। তবে অর্থনৈতিক অবস্থা এইরকম ভাবে রাখতে চাইলে এবং শেয়ার বাজারের উন্নতি চাইলে আগের মতনই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত কোভিদ বিধি-নিষেধ মেনে দেশবাসীকে চলতে হবে এমনটাই আশা করা যায়।