নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজ্যের বকেয়া বরাদ্দ নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করলেন, তাঁর পা এখন কেমন আছে? জবাবে মমতা বলেন, এখন তিনি ঠিক আছেন। পায়ের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল।
এদিন সংসদ ভবনেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের ১০ সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনোযোগ দিয়ে তাঁদের কথা শুনেছেন। রাজ্যের বকেয়া মেটানোর প্রশ্নে আশ্বাস দিয়েছেন সময় বেঁধে সমস্যা সমাধানের। প্রায় ২০ মিনিট বৈঠক চলে তাঁদের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “১০০ দিনের কাজে রাজ্যকে একটি পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র। আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতের অর্থও এখনও মেলেনি। যা তথ্য চাওয়া হয়েছিল, সব দেওয়া হয়েছে। সব ব্যাখ্যা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। গরিবের টাকা আটকে রাখা উচিত নয়।“ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী সমস্ত বিষয় মন দিয়ে শুনেছেন। সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, এ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের মধ্যে যৌথ বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে দু’পক্ষের তথ্য আদান-প্রদান হবে। অর্থাৎ সমাধানসূত্র বের করার পথেই হেঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী, সে কথাই স্পষ্ট করেন মমতা। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কেন্দ্রের থেকে ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য। আবাস যোজনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হেলথ মিশন, ফাইনান্স কমিশনের টাকাও বন্ধ। ১৫৫টি কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে গিয়েছে। কেন্দ্র যা ব্যাখ্যা চেয়েছিল, তা দেওয়া হয়েছে। তারপরেও টাকা বন্ধ।
২০ মিনিটের সেই বৈঠকের শেষে, সাংবাদিক মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন- সেখানেই তিনি জানান, জগদীপ ধনখড়কে ‘অশ্রদ্ধা’র প্রশ্নই ওঠে না।
তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন আপনারা এই ধরনের কথা বলেন। আমরা তো সবাইকে শ্রদ্ধা করি। এখানে অশ্রদ্ধার কোনও প্রশ্নই নেই। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখা উচিত। সহজভাবে নেওয়া উচিত। রাহুল যদি ভিডিয়ো না তুলত, তাহলে তো আপনারা জানতেও পারতেন না।”