এ মুহূর্তে ক্রিকেট দুনিয়ায় একটি আলোচ্য বিষয় হল দীপ্তি শর্মার ম্যানকাডিং ! এ ঘটনায় এক প্রকার দু'ভাগে বিভক্ত হয়েছে ক্রিকেট ভক্তরা। একদলের মতে, যেহেতু ম্যানকাডিং এখন আই .সি .সি. র দ্বারা স্বীকৃত তাই দীপ্তির এই কাজ মোটেই অনৈতিক নয়। ঝুলন গোস্বামীর শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের ৯ উইকেট পরে যাওয়ার পরেও শেষ আশা হিসেবে টিকে ছিলেন চার্লি ডিন। দীপ্তি বল করতে এসে তাকে ক্রিজের বাইরে বেরোতে দেখলে নতুন প্রবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী, উইকেট উড়িয়ে দেন। এর আগেও এই ম্যাচে নাকি প্রায় ৭২ বার ক্রিজ থেকে বেরিয়ে ছিলেন তিনি --- যা নজরে আসে ভারতের অধিনায়ক হরমনপ্রীতের। তাঁর আদেশেই দীপ্তি উইকেট ভেঙে দেন তাই এই বিতর্কে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন নিজের সহ- খেলোয়াড়ের। এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য , " নিয়মের মধ্যে থেকেই সবটা করেছে দীপ্তি। এর মধ্যে কোনো ভুল দেখছি না।" এই ঘটনায় খুশি নন অনেকেই, যেমন ইংল্যান্ডের পুরুষ দলের অনেক খেলোয়াড় এর বিরোধিতা করেছেন। যেখানে স্যাম বিলিংস বলেছেন, " কোনো প্রকৃত ক্রিকেট খেলোয়াড় ই এটাকে কখনোই সাপোর্ট করবে না", তেমনই ইংল্যান্ড টিমের কিংবদন্তি পেসার আন্ডারসন ও একেবারেই সমর্থন করেননি ঘটনাটি। স্ট্রুয়াট ব্রড ও সে পথেই হেঁটেছেন। অন্যদিকে ভারতীয় পুরুষ দলের প্রাক্তনরা যথাক্রমে সেহবাগ, আকাশ চোপড়া সমর্থন করেছেন দীপ্তি কে। কিন্তু এসবের মাঝে রবীচন্দ্রণ অশ্বিনের মন্তব্য সবচেয়ে নজরকাড়া। ২০১৯ এ অশ্বিন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এর অধিনায়ক হিসেবে রাজস্থানের বাটলারকে একই ভাবে আউট করায় তাঁকেও একইভাবে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন একদলের। তিনি দীপ্তিকে এ বিষয়ে সাপোর্ট করেছেন ও ' বোলিং সুপারস্টার ' বলে অভিহিত করেছেন।