সরকার থেকে বিজেপি কে উৎখাত করতে মরিয়া দেশের বিরোধী শিবিরগুলি। নিজেদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে না পারলে এ কাজ অসম্ভব বলে মনে করছেন সর্বদলের নেতানেত্রীরাই। কিন্তু সেই বিরোধী ঐক্য সৃষ্টির মাঝে বড়সড় প্রাচীর সৃষ্টি করছে তাঁদের মধ্যেকার পারস্পরিক মতভেদ। 'বিজেপি বিরোধী ঐক্যে কংগ্রেস হতে পারে বড় হাতিয়ার' - বিহারের মূখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের এমনটা মনে হলেও বাংলার মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার তা মানতে নারাজ। বিরোধী ঐক্যের মধ্যে কংগ্রেসকে রাখতে চান না তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে বিরোধী ঐক্য গড়তে মহানগরগুলিতে প্রচারকার্যেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, মমতার সাথে নিতীশ কুমারের সেভাবে বৈঠক না হলেও, তৃণমূলের সাথে জেডিইউয়ের যোগাযোগ স্পষ্ট। নিতীশের সাথে রাহুলের বৈঠক হয় গত সোমবার। বিদেশ যাত্রা সেরে দেশে ফেরার পর সোনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করতে চেয়েছেন বিহারের মূখ্যমন্ত্রী। সনিয়া-রাহুলের সাথে নিতীশের এই সম্পর্ককে মান্যতা দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তামিলনাড়ু থেকে 'ভারত জোড়ো আন্দোলন'-এর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল গান্ধী। তাঁর কন্ঠেও শোনা যায় ঐক্যের বাণী। তিনি বলেন - 'গোটা বিরোধী শিবিরের দায়িত্ব হলো একজোট হওয়া। আমার দৃঢ় বিশ্বাস প্রত্যেকের তাতে ভূমিকা রয়েছে। এমন নয় যে কংগ্রেস-ই একমাত্র দল'। এদিকে রবিবার দিল্লিতে এনসিপির জাতীয় সম্মেলন। সূত্রের খবর শরদ পাওয়ার সেখান থেকেই বিরোধী ঐক্যের আহ্বান জানাবেন। দেশের অন্যান্য দলগুলির নেতাদের কন্ঠে ঐক্যের ডাক শোনা গেলেও, দেখে শুনে পা ফেলতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক যেন জ্যোতিষীর ভূমিকায় উপনীত। তাঁর মতে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি খুব বেশি হলে চার-পাঁচটি রাজ্য থেকে নিজেদের অস্তিত্ব হারাবে। নিতিশ কুমার জয়ী হতে পারেন ১০ টি আসনে। অখিলেশ পেতে পারেন ২০ টি আসন। সোরেন পেতে পারেন ৩ টি আসন। সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা হতে পারে ৩৩। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশা করেছেন তার নাগালে থাকবে ৩৫ টি আসন। অর্থাৎ বিরোধী ঐক্য হলেও সেখানে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন মমতাই।বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে গেলেও, ঠিক কী হতে চলেছে চব্বিশের নির্বাচনে? শেষ হাসি হাসবে কে? সেদিকেই তাকিয়ে আম জনতা।