ডিজিটাল মুদ্রার ব্যক্তিগত লেনদেনে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার বরাবর। শীতকালীন অধিবেশনে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কিছু বিধিনিষেধ আনতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়ে সংশয় ছিল অনেক ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিকে কি একেবারেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে নাকি লেনদেনের মাধ্যমে কিছু পরিবর্তন আনা হবে। বলা হয়েছিল ডিজিটাল মুদ্রা কি সম্পদ রূপে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তবে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি এ ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট হয়নি । গত শনিবার 4 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এক আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে বলেন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বিভিন্ন রকমের জল্পনার ছড়িয়েছে যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল পেশ করার আগে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ঝুঁকিপূর্ণতার কথা নিয়ে যে সর্তকতা প্রচার করা হচ্ছে সেটিও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আরো জানান যে দরকার পড়লে সচেতনতা প্রচারে আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
একাধিক সূত্রের খবর অনুযায়ী সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি কে মুদ্রা হিসেবে লেনদেন তো হবেই না বরং বিদেশে অর্থ পাঠানো কিংবা বিদেশ থেকে অর্থ গ্রহণ করার ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবেনা ক্রিপ্টোকারেন্সি কে। পেশ করা বিলের খসড়াতে থাকতে চলেছে এমনি প্রস্তাব। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যক্তিগত ডিজিটাল মুদ্রা বাতিল করে তার বদলে রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা প্রস্তাবিত সরকারি মুদ্রা আনা হবে। তাই সেই কাজ যাতে করে তার জন্য হিসাবের খাতা এবং প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরির প্রস্তাব থাকতে চলেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলে। বর্তমানে ডিজিটাল মুদ্রার ওপর কোন সরকারি হস্তক্ষেপ নেই বলেই তাতে ঝুঁকি সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করে কেন্দ্রীয় সরকার। ডিজিটাল মুদ্রাকে সরকারি অধীনে আনলেই নজরদারির দায়িত্ব নিতে পারবে সরকারি সংস্থা। এছাড়াও বিলে বলা হবে নজরদারি দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির হাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা অনুযায়ী অত্যাধিক প্রলোভিত বিজ্ঞাপনের দ্বারা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে আকৃষ্ট করা হচ্ছে যুবসমাজকে তাই কড়া নজর রাখা হবে বিজ্ঞাপনসহ যাবতীয় ডিজিটাল প্রচারে।