গরু পাচার মামলায় নোয়া মোড়। এবার বেনামি সম্পত্তির হদিশ পেতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের স্ত্রী এবং মাকে তলব করলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, দিল্লির ইডি-র সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। ইডি সূত্রে দাবি, সায়গাল জেলে থাকা সত্ত্বেও প্রচুর সম্পত্তি নামে এবং বেনামে হাতবদল হয়েছে। সেই সম্পত্তির উৎস কি, কোথা থেকে এলো এত বিপুল পরিমাণ অর্থ। সবকিছু যাচাই করতে চাই ইডি আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, সায়গাল একজন পুলিশ কনস্টেবল, আর তার প্রাপ্য বেতনে এত বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি হওয়ার কথা নয়। অন্যদিকে সিবিআই সূত্রে দাবি, গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে প্রথম থেকেই সাহায্য করতো সায়গাল। প্রথমে গরু পাচারের টাকা আসতো সায়গালের কাছেই, তারপরে সেই টাকা অনুব্রত মণ্ডলের মাধ্যমে যেত তাঁর নিজের নিকট আত্মীয়দের কাছেই। গত আগস্ট মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে সাক্ষ প্রমাণ দেওয়ার জন্য একাধিকবার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা সিবিআই। কিন্তু বারবারই তিনি বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন হাজিরা। অবশেষে গত আগস্ট মাসে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের ঠিকানা আসানসোলের বিশেষ জেলা সংশোধনাগার। অন্যদিকে ইডি-র নির্দেশকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সায়গালের পরিবার। ইডি আধিকারিকদের মনে প্রশ্ন, অল্প বেতনের চাকুরিজিবি হওয়ার পরেও কিভাবে এত বিপুল সম্পত্তির মালিক সায়গাল হোসেন।