বছরের পর বছর ধরে ভারত- পাকিস্তান ম্যাচ কী, তার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে ভারতবাসী। এটি এমন একটি রাইভালরি যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দু'টো দেশের আবেগ, অনুভূতি। আর সম্প্রতি পাকিস্তান টিমের কোয়ালিটি প্লেয়ারস রা টিমটিমে যে শুধু শক্ত করেছে তা নয় , একইসঙ্গে এই ইন্ডিয়া- পাকিস্তান ম্যাচকে নিয়ে গেছে অন্যতম শিখরে, কারণ এর আগের বছর বিশ্বকাপেই, পাকিস্তানের দুরন্ত পারফরমেন্সে ভারতের কোমর গিয়েছিল ভেঙে। শাহিন শাহ্ আফ্রিদির ভয়ঙ্কর স্পেল, আর রিজওয়ান- বাবরের অপরাজেয় ইনিংস জিতিয়েছিল পাকিস্তান কে। তাই রবিবারের ম্যাচ অনেকাংশেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
টসে জিতে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা বোলিং নেন। অরশদীপ সিং এর দাপটে পাকিস্তান নাস্তানাবুদ হয়ে যায় প্রথমেই। অধিনায়ক ও এই সময়ের অন্যতম বড়ো ব্যাটসম্যান বাবর আজম আউট হন শূন্য রানে। টি ২০ র এক নম্বর ব্যাটসম্যান রিজওয়ান কেও মাত্র ৪ রানে ফেরান সিং। ভয়ঙ্কর ইফতিকার কে ফেরান মহম্মদ শামি। তবে শেষ পর্যন্ত মাসুদের ইনিংস (৫২) পাকিস্তান কে এক সম্মানীয় টোটালে নিয়ে যায়। আফ্রিদির ৮ বলে ১৬ রান ও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত ব্যাট করতে এসে প্রথমেই সমস্যায় পড়ে। কে এল রাহুল আর অধিনায়ক রোহিত শর্মা দু'জনেই ৪ রানে আউট হয়ে যান। খুব প্রত্যাশা করা হচ্ছিল যে সূর্য কুমার যাদবের উপর , তিনিও আউট হন মাত্র ১৫ রানে। অক্সর প্যাটেল কে রান আউট করেন বাবর আজম। কিন্তু অন্যদিকে, টিকে ছিলেন বিরাট কোহলি, যিনি ই লিখলেন এই ম্যাচের ফলাফল । যোগ্য সঙ্গ দিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। বিরাটের অপরাজিত ৮২ রান যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল হার্দিকের ৩৭ বলে ৪০। স্লো শুরু করলেও ধীরে ধীরে ম্যাচের গতি বাড়াতে থাকেন দু'জনেই। শেষ ওভারে আউট হয়ে যান পান্ডিয়া । ৫ বলে ১৬ থাকে বাকি। সেখানে বিরাটের ৬, দীনেশ কার্তিকের স্টাম্প, অশ্বিনের প্রেসেন্স অফ মাইন্ড কী না ছিল ! দুর্বল হৃদয়ের মানুষের কাছে ছিল এটি যথেষ্ট প্রাণহানির জন্য !
ম্যাচ শেষে দেখা গেল বিরাটের চোখে জল, পান্ডিয়াও ফেললেন কেঁদে, রোহিত শর্মা কাঁধে তুললেন, কোচ রাহুল দ্রাবিড় উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। দেখা গেল সুনীল গাভাস্কার কে আনন্দে নাচ করতে। আর হয়তো প্রত্যেকটি ভারতীয় র বাড়িতে কাল উঠল আনন্দের রোল। প্রত্যেকটা ভারতীয় র কাছে এটা হয়ে থাকল এটা স্পেশাল । এটা যেন হারের মুখ থেকে জিত ছিনিয়ে আনা। যুগের পর যুগ মানুষ মনে রাখবে রবিবারের এই ম্যাচ!
কলকাতায় থাকা অনুষ্কা শর্মাও ভালোবাসা উগড়ে দিলেন স্বামীর জন্য এক ট্যুইটে। খেলা দেখতে দেখতে নেচে ওঠেন তিনি। সে ছবি শেয়ার করে বলেন, আজ আমাদের মেয়ে বুঝতে পারছে না কেন আমি নেচে উঠছি, কিন্তু একদিন ও বুঝবে তার বাবা কোন অসাধারণ ইনিংস খেলেছে আজ !
এ যেন রাজার প্রত্যাবর্তন রাজকীয় ভাবে, বহু বছর মানুষ যা মনে রাখবে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image