ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনক

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভুত হলেও তাঁর বাবা ও মা, দুজনেরই জন্ম পূর্ব আফ্রিকাতে। তিনি ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতা মূর্তিকে বিয়ে করেন। তিনি বিশ্বের ২২২ তম ধনী ব্যক্তি।

মেধাবী ছাত্র থেকে ব্যবসায়ী, রাজনীতিতে প্রবেশের ১২ বছরের মধ্যেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক

বরিস জনসন চাপে পড়ে পদত্যাগ করে। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে নামেন লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনক। যদিও কনজারভেটিভ দলের সদস্যরা লিজ ট্রাসকেই তাঁদের পরবর্তী নেতা ও দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন। কিন্তু ব্রিটেনের আর্থিক সঙ্কট লিজ ট্রাস মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হন। লিজ ট্রাসের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কনজারভেটিভ দলের টোরি সাংসদ ও সদস্যরা সুনককে বেছে নেন। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভুত হিসেবে ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন।

মোট ৩৫৭ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৯০ জন সদস্যে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ঋষিকে সমর্থন করেছেন৷ উল্টো দিকে, ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মরডান্ট তাঁর সমর্থন ১০০-জনকেও জোগাড় করতে পারেননি৷ সেই কারণে তিনি বাদ পড়ে গিয়েছেন লড়াই থেকে৷ এর আগে প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ তাঁকে ৫০ জন সাংসদ সমর্থন করবেন বলেছিলেন, কিন্তু তিনি সরে দাঁড়ানোয় সেই হিসাব আর খাটছে না৷ 


২০১৪ সালে কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ওয়েন্ডি মর্টনকে পরাজিত করে ২০১৪ সালে রিচমন্ড (ইয়র্কস)-এর কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসেবে সুনাক নির্বাচিত হন। আগে এই আসনটি উইলিয়াম হেগের দখলে ছিল। ২০১৬ সালে সুনক গণভোটে ব্রেক্সিটকে সমর্থন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি থেরেসা মে-র সরকারে পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ব্রেক্সিট উইথড্রল চুক্তিতে তিনি তিন বার থেরেসা মের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। বরিস জনসন যখন প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই করছিলেন, সেই সময় তিনি বরিস জনসনের হয়ে প্রচার করেন। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সুনক অর্থবিভাগের প্রধান সচিব হন। সাজিদ জাভেদের পর তিনি চ্যান্সেলর পদে নিযুক্ত হন। তিনিই প্রথম বরিস জনসনের বিরোধিতা করেছিলেন। চ্যান্সেলর পদের ইস্তফা দেন।

এই নির্বাচনের ফলে ঋষি ব্রিটেনের ৫৭ তম প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন৷ তিনি ব্রিটেনের প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী৷ গত অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে, সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রসের পদত্যাগ করার পরেই সুনক বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়বেন৷ বলেছিলেন, ব্রিটেনের অর্থনীতিতে কুপ্রভাব পড়েছে ট্রসের মিনি বাজেটের৷

অন্য দিকে লিজ ট্রস হলেন ব্রিটেনের সব চেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি পদত্যাগ করার মাত্র ৪৩ দিন আগে তিনি সে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোল, অর্থনৈতিক সংকট ও দলের অন্দরেই নানারকম বিতর্কের কারণে শেষে তিনি পদত্যাগ করেন৷

 #Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

Journalist Name : Riya Some

Related News