পাটুলিতে বাপ্পাদিত্যের সমর্থনে জমজমাট র‍্যালি, একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলছে ঘাসফুল

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

তারুন্যে ভরপুর অল্পবয়সী বাপ্পাদিত্য মুলত ক্লাব সংগঠন ও সমাজসেবকমূলক কাজেই নিজেকে ব্যাস্ত রাখেন। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরেই রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে প্রবেশ। এলাকায় বামেদের একছত্র শাসন ভেঙ্গে দেওয়া সেই বাপ্পাদিত্যকেই ১০১ নং ওয়ার্ডের পুনরায় পার্থী করলেন তৃণমূল। গত ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে ওয়ার্ডের আমুল পরিবর্তন করেছেন তিনি। রাস্তাঘাট, জল, বিদ্যুৎ সংযোজন থেকে শুরু করে পার্ক, সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি পর্যন্ত সমস্ত দিক থেকে মন কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন বাপ্পাদিত্য। উন্নয়নের এক অন্যরকম নজির গড়ে তুলেছেন তিনি। 


সঙ্গীত জগতের অন্দরে তিনি সৃষ্টিশীল, বিদ্রোহী গায়ক হিসেবেই পরিচিত৷ ভালবেসে কেউ কেউ তাঁকে আগুনপাখি বলেও ডাকেন৷ বামপন্থী ঘরনার এহেন নচিকেতা চক্রবর্তীকে এবারে কলকাতা পুরভোটের ময়দানে সরাসরি তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামতে দেখা গেল৷ সঙ্গীত জগতে ক্রমেই নাম-যশ-খ্যাতি অর্জন করলেও বামপন্থার দিক থেকে কখনও তাঁকে সরতে দেখা যায়নি৷ এহেন নচিকেতার মুখে এদিন বামপন্থীদের সম্পর্কে শোনা গিয়েছে, ‘‘ ওটা এখন সিনিয়র সিটিজেনদের দল!’ স্বাভাবিকভাবেই, গায়ক-শিল্পীর এহেন মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷


‘‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় সমর্থক। তাই তৃণমূলের হয়ে প্রচার ময়দানে৷’’ মঙ্গলবার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের সমর্থনে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছে গায়ক শিল্পীকে৷ নচিকেতার কথায়, ‘‘আমি এবারে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছি৷ তবে বাপ্পার সঙ্গে সম্পর্ক, বন্ধুত্ব অনেক আগে থেকে৷ তাছাড়া ও মানুষের জন্য ওয়ার্ডে অনেক কাজ করেছে৷ তাই ভাল কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই প্রচারের ময়দানে আসা৷’’

তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে কলকাতায় ‘দশ দিগন্তে’র প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি - গত ১০বছরে তাঁর সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে, এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। বাংলার মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য সুরক্ষা, কৃষি, শিল্প থেকে শুরু করে বিদ্যুত, পানীয় জল, রাস্তাঘাট আবাসন - সব ক্ষেত্রেই বাংলার অগ্রগতি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।


কলকাতা পুরভোটের প্রতিশ্রুতি:-                                                                                              

১) কলকাতা শহরে পানীয় জলের সমস্যা দূর করতে বুস্টার পাম্পিং সেন্টারগুলোকে আরও সক্রিয় ও উন্নত করা হবে।

২) শহরের রাস্তা মসৃণ করতে কাজ করবে তৃণমূলের পুরবোর্ড।

৩) জল জমার সমস্যা সমাধানে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। ২০০টি অতিরিক্ত পাম্প বসানো হবে।

৪) ওয়ার্ডের পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে আরও উন্নত করে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সাব সেন্টার তৈরি হবে।

৫) ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে শহরের ৩০টি ডেঙ্গু নির্ণয় কেন্দ্র তৈরি হবে।

৬) ৮টি নাইট শেল্টারের সঙ্গে নতুন করে ৪টি তৈরি হবে।

৭) পার্ক, বাজার ও মাঠ নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হবে।

৮) পুরকর্মীদের ন্যুনতম বেতন ও সামাজিক সুরক্ষার ওপর জোর দেওয়া হবে।

৯) প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি সেন্টার তৈরি হবে।

১০) মহিলাদের জন্য সমস্ত ওয়ার্ডে শৌচাগার ও ফিডিং রুম তৈরি হবে।

১১) প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকার সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ ‘নিষ্কৃতি সেল’ তৈরি হবে।

১২) সমস্ত পুর পরিষেবা অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।


Journalist Name : Payel Das

Tags:

Related News