স্বপ্ন পূরণ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

চুড়ি নেবে ? খেলনা নেবে? বাসন নেবে ? হাক ছেড়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ানো ফেরিওয়ালা ছেলেটি যখন আইআইটি তে পড়াশোনার সুযোগ পায়, তখন সবাই তো অবাক হয়েই তাকাবে ।

' সুপার ৩০' সিনেমার সংলাপ মনে আছে?," রাজাকার বেটা আব অর রাজা নাহি বানেগা, জো হকদার হে ওহি রাজা বানেগা ।"এ যেন তেমনি দৃশ্য। বাঁকুড়ার শালতোড়ার পাবড়া গ্রামের ছেলে ছোটন কর্মকার। তার বাবা পেশায় ফেরিওয়ালা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে খেলনা, বাসন পত্র বিক্রি করে। ছোটনদের বাড়িতে এছাড়া রয়েছে, মা ও দাদা। একটু বড় হতেই পরিবারের অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য বাবার সাথে কাজে লেগে যেতে হয়েছিল তাকে। সেও বাড়ি বাড়ি ঘুরেই এমনিভাবে জিনিস ফেরি করত। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার খুব শখ ছিল। জিনিস ফেরি করলেও মনে মনে ভাবতো একদিন একদম অন্য কিছু করে দেখাবে, তাই পড়াশোনা কখনোই থামায়নি সে। জে ই মেইন পরীক্ষায় পাশ করার পর জে ই অ্যাডভান্সের পরীক্ষায় বসে ছিল সে এবং তা উত্তীর্ণ করলে তাকে ভর্তি হওয়ার জন্য খড়গপুর আই আই টি তে ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার কাঁধে ভারী ব্যাগ নিয়ে যখন খরগপুর আইআইটি ক্যাম্পাসএর সামনে এসে দাঁড়ায় তখন তার নিজেরই ভেতরে যেতে কেমন ইতস্ততা বোধ হচ্ছিল ।এরপর নিরাপত্তা রক্ষী রা তাকে আটকালে সে ব্যাগ থেকে একটি কাগজ বের করে দেখায় ।কাগজ দেখে চমকে উঠে নিরাপত্তা রক্ষীরাও। সেখানে লেখা ছিল বৃহস্পতিবার তাকে ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে। সাধারণ পোশাক আর পিঠের ব্যাগে শুধু কয়েকটা শীতের জামা, কম্বল , গীতা এই নিয়েই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছোটন। সে জানিয়েছে কখনো এত বড় কোন জায়গায় ভর্তি হতে পারবে সে ভাবেনি ।


আর এত টাকা জোগাড় করা ছিল দুঃসাধ্য কিন্তু সাহায্য করেছে কিছু সমাজকর্মী ।কিছু টাকা ধার নিয়েছে সে আর তার পড়াশুনোর পুরো ক্রেডিট দিয়েছে তার স্কুলের শিক্ষকদের ,যাদের ছাড়া সে কখনোই এত দূর এগোতে পারত না। স্থানীয় এক শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে জানান,"পড়াশোনা ছোট থেকেই ভালো ছিল ছোটন। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য দুবেলা ঠিক করে খেতেও পারত না। বাবা-মার কাছে আইআইটির মূল্য কত তা জানা না থাকলেও তাদের বিশ্বাস ছেলে যখন মালা, চুড়ি,টিপ,মালা,ফিতে, বাসন বিক্রি থেকে এতদূর যেতে পেরেছে তখন একদিন ঠিক সে বাঁকুড়াকে গর্বিত করবে।।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image


Journalist Name : Srimita Sasmal

Related News