বাংলাদেশ থেকে ভাষা দিবসে উপস্থিত হবার
আমন্ত্রণ এলো । বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব
একটা শিহরণ জাগিয়ে তোলে, সে যেকোনো মঞ্চে বা
ক্ষেত্রে হোক না কেন! বাংলাদেশের বাংলা অ্যাকাডেমি,
ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত, জাতীয় সাহিত্য উৎসবের মঞ্চে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা বেষ্ঠিত
পোডিয়ামে বক্তব্য বা কবিতা পাঠ এক অন্যরকম অনুভূতির সঞ্চার করেছিল,যা ভাষায় প্রজাশ করা
যায় না। একুশে বইমেলায়, একটি নামী প্রকাশনীর
কর্ণধার যখন আমাকে দেখে হাত প্রসারিত করে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়, ও পরে তাঁর প্রকাশিত বই উপহার দেন
বা উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট মানুষ, ও সাহিত্যিকদের সাথে নিয়ে।
ঢাকার একটি বইমেলায় উষ্ণ সংবর্ধনা, বক্তব্য রাখা, সন্মাননা,পুরস্কার প্রাপ্তি এবং বাংলাদেশ বাংলা এ্যাকাডেমি তে কবিতা পাঠ, জাতীয় সাহিত্য উৎসবে কবিতা পাঠ,সংবর্ধনা গ্রহণ, সম্মাননা প্রাপ্তি, ও
ঢাকার সেগুনবাগিচায়, সন্মাননা গ্রহণ, বাংলাদেশে
ভাষাদিবস উপলক্ষে এক মাইলফলক। জাতীয় প্রেস ক্লাবে,বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রীর হাত থেকে সন্মাননা
গ্রহন স্মরণীয় হয়ে আছে। এছাড়া দুই বাংলা ডট কম
আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনে ও ভাষা দিবসের
তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখা ও কবিতাপাঠ
এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
ইতিহাস বিজড়িত ১৯৫২ র ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিতে
ঢাকার শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এক শিহরণ
জাগানো মুহুর্ত যা জীবনের সাথে ইতিহাসকে ছুঁয়ে,
থাকার কথা বলে যায়।
ভারতের প্রতিনিধিত্ব সে যে কোন মঞ্চে, যেমন করেই
হোক না কেন, তা গৌরবের। (সৌজন্যে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
বাচিক সংসদ)
লেখক পরিচিতি --
নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
কবি- বাচিকশিল্পী -গীতিকার - সাহিত্যিক
--------
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ,নট- নাট্যকার মিহির কুমার চট্টোপাধ্যায় ও সাহিত্য - শিল্প অনুরাগিনী নিয়তি চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র
নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় - এর সাহিত্য অঙ্গনে প্রবেশ কলেজ জীবনের প্রারম্ভেই।
লেখক বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
পিতার হাত ধরেই সাহিত্যচর্চার সাথে বিভিন্ন সামাজিক ও ঐতিহাসিক নাটকে অভিনয়। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার
পুরস্কার প্রাপ্তি, একটি ঐতিহাসিক নাটকে।
করেছেন Audio story তে অভিনয়। সরকারি -বে-সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাচিক শিল্পী রূপে কাজ করে থাকেন। সহযোগী সম্পাদকের ও সাংবাদিকের ভূমিকায় কলকাতার পাক্ষিক সংবাদপত্রতে কাজ, এই শতাব্দীর
দ্বিতীয় দশকে।
নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় - কবি- গীতিকার - গল্পকার, উপন্যাসিক,বাচিক শিল্পী।
আকাশবানীর গীতিকার রূপে নির্বাচিত হন, কলেজ জীবনেই। আকাশবানী থেকে
বিভিন্ন শিল্পীর কন্ঠে তাঁর গান পরিবেশিত হতে থাকে ।
পরবর্তী কালে চিকিৎসক, বাচিক শিল্পী ও লেখক সত্তাকে নিয়ে তিনি এগিয়ে চলেছেন।
গাথানি রেকর্ডস থেকে তাঁর লেখা গান প্রকাশিত হয়। তাঁর লেখা গান, প্রচারিত হয় কলকাতা দুরদর্শন সহ একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে।
চলচ্চিত্রে, নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের লেখা গানে কন্ঠদান করেছেন, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী
শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত আচার্য্য, ইন্দ্রানী সেন, চৈতালি চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, প্রমুখ।
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বরেন্যা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ও মহাশ্বেতা দেবীর আশীর্বাদ ধন্য এই লেখক
সনেট সহ নানা ধরনের কবিতা সৃষ্টির সাথে সাথে, গল্প,উপন্যাস,নাটক, ছড়া,প্রবন্ধ,চিত্রনাট্য,
গান,শ্রুতিনাটক রচনা করে চলেছেন। ভারত, বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায় লিখে থাকেন। বাংলা ও ইংরেজি, দুই ভাষাতেই লেখেন।
নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের প্রাপ্তি ছন্দের যাদুকর "সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার", শরৎ স্মৃতি পুরস্কার/ সন্মান, কবি - নাট্যকার দ্বিজেন্দ্র লাল রায় স্মৃতি পুরস্কার / সন্মান, বিদ্যাসাগর স্মৃতি সন্মান, মাদার টেরেসা, পরমাণু কাব্য সারথী,রাজা রামমোহন স্মৃতি সন্মান, বিশ্ববঙ্গ কাব্য
উৎকর্ষ সন্মাননা,পারিজাত সাহিত্য গৌরব, দুই বাংলার
বিজয়ের কবিতা উৎসব স্মারক সন্মাননা,
"প্রসাদ উল্টোরথ সাহিত্য সন্মান" সহ অন্যান্য সাহিত্য পুরস্কার/ সন্মান রাজ্যস্তরে সেরা কবি সন্মান।
প্রকাশিত গ্রন্থ - ১০ ও অপ্রকাশিত গ্রন্থ ৫ টি।
ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিনেমা উপযোগী গল্প বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছেন Kolkata International micro film festival -এ।