কেন্দ্র ২০ বছরেও নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে পারেনি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এবছর দেশে উদযাপিত হচ্ছে নেতাজির ১২৭তম জন্মদিন (Netaji Subhas Chandra Bose Birthday 2023) । দেশকে আজীবন স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখে গিয়েছেন নেতাজি। ব্রিটিশের শাসনমুক্ত ভারত ছিল যাঁর একমাত্র ধ্যান জ্ঞান চিন্তা। তাঁর আদর্শ আজও দেশের তরুণ সমাজকে অনুপ্রাণিত করে। 

কংগ্রেসে থাকার সময় জাতিরজনক মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi), জওহরলাল নেহেরুর মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন সুভাষচন্দ্র বসু (Subhas Chandra Bose)l যদিও পরে মতানৈক্যের কারণে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নেতাজি। শোনা যায়, ১৯২১ সালের ১৬ জুলাই ইংল্যান্ড থেকে ফিরে অধুনা মুম্বই তথা তৎকালীন বম্বেতে যান যান সুভাষচন্দ্র বসু। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৪। সেই সময় দেশে অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গান্ধীজি। তখন গান্ধীজিও বম্বেতেই ছিলেন। ওইদিন বিকেলেই  উভয়ের সাক্ষাৎ হয়। শোনা যায়, সেই সাক্ষাতে গান্ধীজিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তুলেছিলেন নেতাজি। গান্ধীজি ছিলেন অহিংস আন্দোলনের পক্ষে। আর সুভাষচন্দ্রের  কাছে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনও উপায়ই ছিল গ্রহণযোগ্য। 


দীর্ঘ ২০ বছর কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন সুভাষচন্দ্র বসু। প্রথম সক্ষাতেই মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য উঠে আসে, তবুও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের দেখানো পথে হেঁটে যোগ দেন জাতীয় রাজনীতিতে। একটা সময় কংগ্রেসের সভাপতিও হন। যদিও পরে মতপার্থক্যের কারণে কংগ্রেস ছাড়েন সুভাষচন্দ্র। গড়ে তোলেন ফরওয়ার্ড ব্লক।

আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন (Netaji Subhas Chandra Bose Birthday)। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ গ্রহণ করেন সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর বাবা ছিলেন জানকীনাথ বসু এবং প্রভাবতীদেবী। সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন তার পিতা-মাতার চৌদ্দ সন্তানের নবম সন্তান তথা ষষ্ঠ পুত্র। বাড়িতে, সুভাষচন্দ্রের সুভাষচন্দ্রের বাবা ও মা হিন্দু দেবী দুর্গা ও কালীর উপাসনা করতেন। একইসঙ্গে মহাভারত ও রামায়ণের মতো মহাকাব্য থেকে গল্পও শোনাতেন ছোট্ট সুভাষকে। ছোটবেলা থেকে খেলাধূলা ও উদ্যানচর্চার বিষয়েও উৎসাহ দেওয়া হত সুভাষচন্দ্রকে। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ তাঁকে ছোট থেকেই অনুপ্রাণিত করে। 


দেশকে স্বাধীন করার জন্য দীর্ঘদিন দেশের বাইরে কাটিয়েছেন নেতাজি। ঘুরেছেন জার্মানি-জাপানের মতো দেশে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহে আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়ে তোলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এছাড়াও আজাদ হিন্দ ফৌজে একটি পৃথক মহিলা ইউনিটও ছিল। যার নাম দেওয়া হয় ঝাঁসি রানী রেজিমেন্ট। ১৯৪৪ সালের ৪ জুলাই, বার্মায় ভারতীয়দের এক সমাবেশে আজাদ হিন্দ ফৌজের উদ্দেশে একটি ভাষণ প্রদানের সময় নিজের সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি শোনা যায় তাঁর মুখে। নেতাজি বলেন, "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো"। 

২০ বছরেও নেতাজির জন্মদিন জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে পারিনি, লজ্জিত: মমতা

মমতার আক্ষেপ, নেতাজিকে সবাই ভুলে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র রাজনীতি ছাড়া কিছু হচ্ছে না।


নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৩শে জানুয়ারি পরাক্রম দিবস হিসেবে ভারতে পালিত হয়। এই বছর দেশ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। প্রথমবারের মতো, নেতাজি জয়ন্তী 2021 সালে তাঁর ১২৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে পরাক্রম দিবস হিসাবে পালিত হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা এবং আসামে, এটি একটি স্বীকৃত ছুটি। এই দিনে ভারত সরকার নেতাজিকে সম্মান জানায়।

কেন্দ্র ২০ বছরেও নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে পারেনি… 

Journalist Name : প্রিয়শ্রী

Related News