#Pravati Sangbad Digital Desk:
গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের লটারি প্রাপ্তি নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। আর সেই জল্পনার অবসান ঘটাতেই তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। লটারির দোকানে অভিযান থেকে শুরু করে আসানসোল সংশোধনাগারে জেরা, সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে। দিনটা ছিল ১৭ই জানুয়ারি। এক জনপ্রিয় লটারি এজেন্সির ওয়েবসাইটে এক কোটি টাকার বিজেতা হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলের নাম ও ছবি দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। যদিও সেই লটারি প্রাপ্তি নিয়ে আবারো শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে কেষ্টর লটারি প্রাপ্তির সত্যতা নিয়ে। আর সেই রহস্যের উন্মোচনেই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। অনুব্রতের জেতা লটারির টিকিট সম্পর্কে বিশদে জানতে প্রথমেই তদন্তকারীরা হানা দিয়েছিলেন বোলপুর চৌরাস্তা সংলগ্ন রাহুল লটারি কাউন্টারে। দোকান মালিক শেখ আইনুলকে কেন্দ্র করে শান্তিনিকেতনের রতন কুঠিতে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। সেখানেই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় ওই লটারির টিকিটটি রাহুল লটারি কাউন্টার থেকে বোলপুর-শ্রীনিকেতন রাস্তার উপরে থাকা লাকি লটারি কাউন্টারের মালিক রঞ্জিত ধীবর কিনে নেন। এরপর সেটি কিনে নেন বোলপুর থানার অন্তর্গত নাহিনা গ্রামের এক টিকিট ব্যবসায়ী মুন্না শেখ। তার থেকে টিকিটটি কিনেছিলেন ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দা। পরবর্তীতে ওই বাসিন্দার কাছ থেকেই টিকিটটি কেনেন অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনাক্রমে জিতে যান ১ কোটি টাকার পুরস্কারও। আর এই তথ্য সামনে আসতেই সন্দেহ আরো জোরালো রূপ ধারণ করে। সম্পূর্ণ বিষয়টির চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে শনিবার আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছান সিবিআই এর আধিকারিকরা। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে জেরা। একই সাথে নিজাম প্যালেসে ওই লটারির টিকিট এজেন্সির মালিক কে ডেকে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে চলে তদন্ত। খতিয়ে দেখা হয় বেশ কয়েকটি নথিও। তবে জেরা চলাকালীন বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি মিলেছে বলেই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই অনুব্রত এর লটারি প্রাপ্তি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। তাদের মতে কালো টাকা সাদা করাতেই অনুব্রত এমন একটি নাটক রচনা করেছেন। তবে সত্যিই কি এই লটারি প্রাপ্তির নেপথ্যে রয়েছে এক গভীর ষড়যন্ত্র? রয়েছে দুর্নীতির কালো হাত? সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।
Journalist Name : Uddyaloke Bairagi