আবারও জামিন খারিজ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। আজ আসানসোলে সিবিআই বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়েছিল তাঁকে, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে সাওয়াল জবাব পর্ব। তারপরেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-র আইনজীবীকে লক্ষ্য করে বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, “তদন্তে এতো বিলম্ব কেন?”। শুধু তাই নয়, তদন্তের সম্ভাব্য সময়ও জিজ্ঞেস করেন বিচারপতি।
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সজল দাশগুপ্তের অভিযোগ, “আমার মক্কেলকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হেনস্থা করা হচ্ছে”। তিনি আরও বলেন, “জামিন পেতে গেলে কি রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করতে হবে? নাকি সন্ন্যাস নিতে হবে তাঁকে”। এদিন সিবিআই আইনজীবী বলেন, “গরু পাচার সংক্রান্ত কোন তথ্য জিজ্ঞেস করলেই অনুব্রত মণ্ডল উত্তর দিচ্ছেন না। চুপ করে আছেন তিনি”। সিবিআই আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পরে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সজল দাশগুপ্ত বলেন, “এমানুল হক গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত। তিনিই কাস্টমস এবং বিএসএফ-র ওপর প্রভাব খাটিয়ে গরু পাচার করতো। আমার মক্কেল এই ব্যপারে কিছুই জানে না। তাহলে উত্তর দেবে কি করে”। দু পক্ষের কথোপকথন শোনার পরে বিচারপতি আগামী ১১ই নভেম্বর পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে উৎসবের কারণে এতদিন বন্ধ ছিল আদালত। তবে সিবিআই তদন্ত চালিয়ে গেছে, চার্জশিটও জমা করেছে আদালতে। সিবিআই চার্জশিটে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম উল্লেখ করেছে। সূত্রের খবর, গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনের মোবাইল ব্যবহার করতো অনুব্রত মণ্ডল।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image