# Pravati Sangbad Digital Desk:
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা রবিবার জমা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর 'শান্তিকুঞ্জ' বাড়ির সামনে। এমনকি তাঁরা ঢুকতে চান অধিকারীদের বাড়িতেও। এতে বাধা দেয় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঠিক কী অভিযোগ করা হয়েছে? আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানে হলফনামায় অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া ও পুলিশ এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিআরপিএফ-কে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামীকাল, বুধবার দুপুর ২টোয় শুনানির সম্ভাবনা। সেখানে কি হয় সেটাই দেখার। ঠিক কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতার? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, 'ওরা খুব ভাল করেই জানে, বাড়িতে আমার ৮৪ বছর বয়সী বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছর বয়সী মা গায়ত্রী অধিকারী রয়েছেন। বাড়ির সামনে স্লোগান দিয়ে, উত্তেজনা তৈরি করে ওরা ইচ্ছাকৃত বাবা-মাকে বিরক্ত করছে। মমতার পুলিশ ৫ পয়সার মতো দু'মুখো ও অপদার্থ। একদিকে,চাকরি প্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্যদিকে, যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গণ্ডগোল বাধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়া পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল। 'মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টে যান শুভেন্দু অধিকারী । সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। অথচ তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। এতে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে কি না খতিয়ে দেখার দরকার রয়েছে বলে কোর্টে জানান শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী।
এ প্রসঙ্গে তথ্যপ্রমাণ হিসাবে কাঁথির শান্তিকুঞ্জের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। প্রয়োজনে তা আদালতে পেশ করা হবে বলেও জানান তিনি। যদিও শান্তিকুঞ্জ অর্থাত্ শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে জমায়েত প্রসঙ্গে এর আগেও মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই সময় বলা হয়েছিল, রাতে অচেনা লোকজনের আনাগোনা হচ্ছে। এবারও ফের একই অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে গিয়ে তৃণমূলের ‘গেট ওয়েল সুন’ কর্মসূচির জেরে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে কাঁথি থানায়। কাঁথির ক্রিমিনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই মামলা দায়ের হয়েছে। মোট ১৮ জনের নামে এই অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তের তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরির। যিনি কাঁথি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ইতিমধ্যেই সোমবারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঁথির সাংসদ তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে ফোন করেন। বর্ষীয়ান এই তৃণমূল সাংসদের আরেক ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “বাড়িতে বয়স্ক মানুষরা থাকেন। রাজনীতির নামে যা হচ্ছে তা নিয়ে সত্যি কিছু বলার নেই।” এই ঘটনার নিন্দা করে টুইট করে শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু অধিকারীর একটি টুইট প্রসঙ্গে দু’দিন আগেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে ‘গেট ওয়েল সুন’। সেইমতোই সোমবার শুভেন্দুর অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। এদিকে তাঁদের মাঝপথে আটকে দেয় পুলিশ। তাতে সামান্য ধস্তাধস্তিও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঠিক কী বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, 'শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে কার্ড ও ফুল তুলে দেওয়ার জন্যে এসেছিলাম। কোনও অশান্তি করতে আসিনি। উনি বাড়িতে ছিলেন না পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই পুলিশের মাধ্যমে ওঁর কাছে কার্ড ও ফুল পাঠিয়ে দিয়েছি।'
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Sampriti Gole