পৌর-ভোটের তোড়জোড় কেমন চলছে ? : মুখোমুখি শান্তিরঞ্জন কুন্ডু

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কলকাতা: সামনেই পৌর-ভোটের নির্বাচন। এখন ভোটের তোড়জোড় কতদূর এগোলো সেই খবর নিতে সব সাংবাদিকরা এখন ভোটের প্রার্থীদের কাছে ছুটছেন। ভোটপার্থীরাও বেশ খোস-মেজাজে তাদের সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। ভোটপার্থীরাও বেজায় খুশি তাদের উন্নয়নমূলক কাজের আলোচনা, ভোটের প্রচার, তোড়জোড় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে। এরকমই একটি দিনে কলকাতা পৌর-নির্বাচনের কাঁকুরগাছি এলাকার ৩২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল-কংগ্রেস প্রার্থী শান্তিরঞ্জন কুন্ডুর মুখোমুখি প্রভাতী সংবাদ-
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে জনগণের উচ্ছাসের ভিড়ে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে মানুষের দিকে এগিয়ে চলেছেন তিনি। প্রভাতী সংবাদ মাধ্যমকে দেখে হাসি মুখে হাসিমুখে স্বাগত জানালেন। জানালেন ভোটের প্রচারে বেরিয়ে বেশ মুগ্ধ তিনি। সাড়ে ছয় বছরে এলাকাবাসী তার কাছে একটি পরিবার হয়ে গেছে। মানুষের উপকারে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। মানুষের জন্য যা উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করেছেন তাতে মানুষ খুবই খুশি এবং তাকে নিজেদের বাড়ির ছেলের মতো ভালোবাসেন।
তিনি বললেন, “মানুষের মুখের হাসি, তাদের আশীর্বাদ, বলে দিচ্ছে নির্বাচনে আমি জয়লাভ করেই গেছি। শুধু হাতে সার্টিফিকেট পাওয়া বাকি। আমার কাজকর্ম দেখে মানুষ আমাকে অনেক আগেই ভোট দিয়ে দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের ওপরে কেউ নেই, মানুষ যেখানে আমাকে ভোটের আগেই জিতিয়ে দিয়েছেন, ওই বুথে গিয়ে শুধু বোতাম টেপার অপেক্ষা মাত্র।”

নির্বাচনে জেতার পরের পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান যে তার কাজকর্ম ভোটে হারা বা জেতার ওপর নির্ভর করে না। তিনি আজ অব্দি কোনোদিনও ফলের আশা করেন নি। যে করেছেন যেইটুকু করেছেন মানুষের কথা ভেবেই করেছেন। তিনি বলেন, “এই এলাকার একটি বস্তি আছে সেটাকে ফ্ল্যাটে পরিণত করছি, ইতিমধ্যে অনেকটাই হয়ে এসেছে সেই কাজ। সাড়ে ছয় বছরে আমি এবং এই এলাকার বিধায়ক সাধন পান্ডে,আমাদের দুজনের যৌথ প্রয়াশেই এই কাজটা করা সম্ভব হচ্ছে। এখানে এই বাসন্তিকলোনি, গুলের মাঠ, এই সব জায়গাতে আমরাই ফ্ল্যাট বানিয়েছি। আমাদের এই দিকে হঠাৎপল্লী নামের একটি এলাকায় ওয়ার্ক-অর্ডার, টেন্ডার, সব দেওয়ার পরে দেখা গেলো যে, যেই কাজগুলো আমরা করি এই বাংলার বাড়ি, সেটাতে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ সমর্থন থাকে। আমি এই কাজটি করতে গিয়ে দেখলাম আমাদের রাজ্য সরকারের কিছুটা জমি আছে এবং রেলের কিছুটা জমি আছে। এখন রেলের থেকে আমি সমর্থন পেয়ে গেলেই কাজটা পুরোপুরি এগোবে। এছাড়াও আমরা চাইছি এখানে একটি বুস্টার পাম্পিং সিস্টেম চালু করবো যাতে স্থানীয় মানুষের কোনোরকম কোনো জলের অভাব না হয়। এখানে জলের কোনো সমস্যা নেই যদিও কিন্তু এমনও নয় যে এখানে মানুষ অফুরন্ত জল পাচ্ছে। আমরা বুস্টার পাম্পিংয়ের দ্বারা এখানে জলের প্রেসারটা বাড়াতে চাইছি।”  
তিনি খুশি প্রকাশ করে জানান যে তিনি খুবই গর্ববোধ করছেন নিজের কাজ নিয়ে। ওনার কোনো কাজ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে কোনো রকম কোনো অভিযোগ বা রাগ কিছুই নেই, বরং তারা খুশি তাকেই নিজেদের প্রার্থী হিসেবে পেয়ে।

তিনি আরও বলেন যে তিনি সবসময় চেষ্টা করে যান কি ভাবে আরো জনপরিষেবা উন্নত করতে পারেন।কিন্তু এই দিকে বিরোধীপক্ষ রাস্তায় নামতে একেবারে নারাজ অথচ ভালো ফলের আশা ত্যাগ করতেও নারাজ। যদি মানুষের জন্য কাজ না করে ভালো ফলের আশা করা হয় তা বৃথা আশা করার সমান বলে দাবি করেন তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরঞ্জন কুন্ডু। তিনি বলেন, “আমি এই নির্বাচনে কোনো দল বা দলের প্রার্থীকে নিজের প্রতিদ্ধন্ধী বলে ভাবছি না, কারণ আমার সব সময় এটাই মনে হয় যে আমি নিজেই নিজের প্রতিদ্ধন্ধী। আগে আমি কি কাজ করেছি, এখন কতটা কি ভাবে কাজ করছি, এইগুলোকে বিবেচনা করি, এবং সেটাই আমাকে আগামীদিনে পরবর্তীকালে মানুষের জন্য আরো নতুন নতুন ভালো উন্নয়নমূলক কাজ করতে উৎসাহ জাগায়। আর বিরোধী দলের কোনো প্রার্থীকেই আমি নিজের প্রতিদ্ধন্ধী মানি না, কারণ প্রতিদ্ধন্ধী হতে গেলে রাস্তায় নামতে হয়, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য কাজ করতে হয়, আর বিরোধী দল কি করে সেটা আমি কেন এই এলাকার মানুষজন সবটা জানে।"

আজ কাঁকুরগাছি এলাকার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরঞ্জন কুন্ডুর বক্তব্য শুনে এটা পরিষ্কার বোঝা গেল যে নির্বাচনে তিনি তার জয় নিয়ে খুবই নিশ্চিত। ভোটের ফলের আশা একেবারেই তিনি করছেন না বরং জনকল্যাণে কি ভাবে আরো নিজেকে ডুবিয়ে রাখা যায় সেটাই তিনি ভাবছেন।

Journalist Name : Payel Das

Related News