Flash news
    No Flash News Today..!!
Tuesday, May 7, 2024

কলকাতা থেকে ঢাকা , ৩০৬ কিলোমিটারের রাস্তা, পাড়ি দিলেন হেঁটেই

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কলকাতা থেকে ঢাকা। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে এই পদযাত্রা করলেন গীতা। সামাজিক পরিমণ্ডলে সামাজিক দায়িত্বগুলো সমাজের সামনে তুলে ধরে সচেতনের উদ্দেশ্যে পতাকা হাতে পায়ে হেঁটে কলকাতা থেকে ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন গীতা বালা কৃষ্ণ নামে এক আর্কিটেক্ট। দীর্ঘ ৩০৬ কিলোমিটার দূরত্ব পায়ে হেঁটে পাড়ি দিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ভারতীয় স্থপতি গীতা বালাকৃষ্ণাণ। তবে মাঝে একদিন ঝড়ের কারণে বিরতি নিতে হয়েছিল তাঁকে। পদযাত্রার শেষ অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের স্থপতিদের সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবন পর্যন্ত হেঁটে যান গীতা। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে শেষ ১ কিলোমিটারের পদযাত্রায় অংশ নেন। এশিয়ার স্থপতিদের বৃহত্তম সংগঠন আর্ক এশিয়া, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, ভারতীয় স্থপতি ইনস্টিটিউট ও এথোস যৌথভাবে এই পদযাত্রা আয়োজন করে। সেখানেই প্রধানত অংশগ্রহণ করে এই গীতা। প্রায় এক দু কিলোমিটার হাঁটতেই আমাদের কতই না কষ্ট হয় আর সেখানে গীতা ৩০৬ কিলোমিটার! না এ কখনো ভাবায় যায় না। কিন্তু বাস্তবে সত্যিই এমনটাই হলো। 


স্থপতি গীতা বালাকৃষ্ণান দক্ষিণ ভারতীয় পরিবারের সদস্য হলেও তিনি জন্মেছিলেন কিন্তু কলকাতায়। তিনি কোস্টাল ট্র্যাকারের নেশায় বুদ হয়েছিলন। ভারতের স্থপতি ইনস্টিটিউটের পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তিনি। এর আগে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনে কলকাতা থেকে নিউদিল্লি পর্যন্ত ১৭০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে পাড়ি দিয়েছিলেন গীতা। কলকাতা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে তিনি পেরিয়েছেন যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর,মাদারিপুর, শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ ইত্যাদি। মোট ১৭ দিনে তিনি ৩০৬ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন, শুধুমাত্র ঝড়ের কারণে একদিন তার যাত্রা বিরত রাখতে হয়েছিল। শহীদমিনার থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের স্থপতিদের সঙ্গে নিয়ে সংসদ ভবন পর্যন্ত হেঁটে যান গীতা। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে শেষ ১ কিলোমিটারের পদযাত্রায় অংশ নেন। পরে সংসদ ভবনের প্লাজায় গীতা বালাকৃষ্ণাণকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন। পদযাত্রার শেষে গীতা বলেন, ‘‘ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সচেতনতা সৃষ্টি করে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারলে পশ্চিমের দেশগুলো আমাদের অনুকরণ করবে। আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে একসঙ্গে কাজ করছি, আশা করি আমরা সফল হব।’’

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News