স্বামীর হাত ধরেই এই প্রথম রাজনীতির মঞ্চে পা রাখলেন বিজেপির অন্যতম নতুন মুখ মানজিন্দার কর। কেমন লাগছে এই নতুন জগৎ, কেনই বা এলেন এই রাজনীতির জগতে এরকম হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজ প্রভাতী সংবাদের মুখোমুখি কলকাতা পৌরসংস্থার বেলেঘাটা এলাকার ৩০নং ওয়ার্ডের মহিলা বিজেপি প্রার্থী মানজিন্দার কর –
●● “আপনার এই রাজনৈতিক জীবনযাত্রা শুরু কি ভাবে হলো?”
●● “আমার এই রাজনৈতিক জীবনযাত্রা শুরু হয় আমার স্বামীর হাত ধরে। আমার নিজের একটা NGO আছে সেখানে গরিব মানুষ, তাদের ছেলে মেয়ে সবার জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়। আমার এই NGO জন্য এই এলাকার মানুষ আমাকে খুব ভালোবাসে। তারা সব সময় বলতো যে দিদি তুমি এই ওয়ার্ডের ভোটে নামো আমরা তোমাকে জেতাবো, এই এলাকাতে কোনো উন্নয়ন হয়না, তুমি আসলে আমাদের অনেক উপকার হবে, আমরা ভালোভাবে থাকতে পারবো। সেই সব মানুষদের কথা আমি ফেলতে পারি নি, তারপর এই ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে যায় রাজনীতির মঞ্চে পা দিলাম।”
●● “ আপনি তো এই ওয়ার্ডের বিজেপির তরফ থেকে মহিলা প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তো এই নির্বাচনে জয়ী হলে কি কি বিষয় নিয়ে কি কি পরিকল্পনা রয়েছে আপনার?”
●● “সমাজসেবা করতে করতে কোনোদিনও ভেবেছিলাম এই ভাবে রাজনীতিতে আসবেন?”
●● “সত্যি বলতে আমি কোনদিন রাজনীতিতে আসা নিয়ে কিছুই ভাবি নি, কিন্তু জনগণের আমার প্রতি ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস, ভরসার জোরেই আমি এই এলাকাতে ভোট প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নি। মানুষের জন্য আরো ভালো করে কাজ করার আসা নিয়েই এই জগতে পা রেখেছি আমি। জনকল্যাণ কি ভাবে আরো উন্নত করা যায় সেটিই আমার একমাত্র লক্ষ্য।”
●● “পরিকল্পনা যা আছে সেটা এখন মুখে কিছু বলতে চাইনা একেবারে কাজে করে দেখানোর ইচ্ছে আছে। এমনিতে কিছু জিনিস ভেবেছি যেমন যারা আবার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে, তাদের প্রত্যেকের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকে একটি করে ল্যাপটপ দিতে চাই, বয়স্ক মানুষদের জন্য ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করতে চাই, দুস্থ গরিব ছেলে-মেয়েদের জন্য বিনাপয়সাতে খাতা, বই, কিনে দিতে চাই, রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলতে চাই, এই এলাকার মানুষের জন্য মিষ্টি পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে চাই, যাতে মানুষকে জলের জন্য আর কষ্ট করতে না হয়, মানুষের পাশে আর্থিক ভাবে, মানসিক ভাবে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাই।”
●● “ত্রিপুরাতে বিজেপির জয় দেখে কলকাতা পৌরসভার ভোট নিয়ে আপনি বা আপনার দল কতটা আশাবাদী?”
●● “ত্রিপুরাতে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন, কলকাতাতেও যদি মানুষ সঠিক জায়গাতে সঠিক ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে নিশ্চই আমরাই জয় লাভ করবো। কিন্তু মানুষকে তো সেই অধিকারটাই দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়েই মানুষের সত্যের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।”
●● “নতুন প্রজন্মের যারা রাজনীতিতে পদার্পন করতে ইচ্ছুক যাকগে তাদের উদ্দেশ্যে কি বলতে চাইবেন?”
●● “আমি এটাই বলবো নতুন প্রজন্মকে যে ভালো করে পড়াশোনা করো, অনেক শিক্ষিত হও, নিজেদের পায়ে দাঁড়াও, তারপর আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে সমাজের জন্য, জনগণের জন্য, নতুন নতুন উন্নয়নমূলক কাজ করতে এগিয়ে এসো। রাজনীতির মঞ্চে শিক্ষিত মানুষের খুব অভাব, সেই শুন্য জায়গাটা তোমাদেরকেই পূরণ করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।”