চাকরি বাতিলের কোনো সুপারিশ এখনো পর্যন্ত হয়নি কেন?

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

আমরা দেখেছি সিবিআই তদন্তে বহু শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি চলে গেছে কারণ তারা ছিল অযোগ্য। আবারও তদন্তে উঠে আসলো সেই সমস্ত অযোগ্য দের নাম। কিন্তু যোগ্যরা কোথায় যাবে? তাদের কি চাকরিতে নিয়োগ হবে না? সেই দাবি তুলছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। কমিশনের তদন্তে উঠে আসলো ১৮৩ জন অযোগ্য দের নাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সিবিআই দাবি করল সংখ্যাটা 183 নয় সংখ্যাটা হল ৯৫২। এসএসসি কমিশন তাহলে সংখ্যাটা ছোট করে দেখালো কেন ?তাহলে কি কমিশন আড়াল করতে চাইছে অযোগ্যদের? বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাহলে তিনি ঠিক কতজনকে বাদ দেবেন?  

       যদি এতজনই অযোগ্য থেকে থাকে তাহলে নিয়োগ কি করে হলো তাদের কারসাজি তো হয়েছেই কিন্তু কোথায়? কারসাজি হয়েছে OMR সিটে। সেখানেই পাওয়া গেছে সেই সমস্ত অযোগ্যদের নাম। দেখা গেছে এমনই এক শিক্ষার্থী যে পরীক্ষার খাতায় নম্বর পেয়েছিল মাত্র ৫ কিন্তু তার নামের পাশে বড় বড় করে লেখা রয়েছে ৫৩। এবং এসএসসি প্যানেলেও তার নাম আছে তাহলে কারসাজি কি এসএসসি আধিকারিকদের মধ্যেও আছে? কি করে হলো এই কারসাজি?


         এসএসসি কমিশন জানিয়েছে র‍্যাঙ্ক এর ভিত্তিতে এই ১৮৩ জন অযোগ্য দের নাম খুঁজে পাওয়া গেছে। এসএসসি কমিশন আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই ১৮৩ জনের নাম খুঁজে পেয়েছে যাদের মাস্টার্সে র‍্যাঙ্ক ছিল পেছনের দিকে, তারাই আগে চাকরি পেয়েছেন। অন্যদিকে সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে ৯৫২ জনের নাম। এবং তারা জানিয়েছে র‍্যাঙ্ক এর ভিত্তিতে কারসাজিত তো হয়েছে অন্যদিকে বড় কারসাজি লুকিয়ে আছে OMR সিটে যা বোঝার ক্ষমতা এসএসসি কমিশনের নেই।


   বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন এখনো পর্যন্ত ১৮৩ জনকে খুঁজে পাওয়া গেলেও তাদের চাকরি বাতিলের কোনো সুপারিশ এখনো পর্যন্ত হয়নি কিন্তু কেন? বিচারপতি এও জানিয়ে দিয়েছেন রেহাই নেই কোন অযোগ্যদের। নিয়োগ দুর্নীতিতে অপরাধকে থামানোর পরিবর্তে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে,এটা বিস্ময়কর। 


       তবে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কোন অযোগ্যরি রেহাই নেই। এবং বেআইনিভাবে নিযুক্ত সেই সমস্ত শিক্ষক চাকরি থেকে নিজেরা ইস্তফা না নিলে এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে আদালত।

Journalist Name : Joly Pramanick

Related News