নাম সুলভ শৌচালয়। শৌচালয়ের উপরে লেখা রয়েছে, প্রস্রাবের জন্য কোন টাকা লাগবে না। কিন্তু তাও রেল যাত্রীরা ঢুকতে গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে ।তাদের বলা হচ্ছে টাকা না দিলে প্রবেশ করা যাবে না। কারো কাছ থেকে দু টাকা কারো তিন বা ৫ টাকা এভাবেই নিয়ে চলেছে হাওড়া স্টেশন এর সুলভ শৌচালয়। সম্প্রতি এমন ই ঘটনা ঘটছে স্টেশন এ। হাওড়া জংশন এর ১ ও ১২ নং প্ল্যাটফর্ম এ রয়েছে শৌচালয় এর ব্যাবস্থা ,যা সাধারণ মানুষ একেবারে বিনামূল্যে ব্যাবহার করতে পারেন। কিন্তু সেখানেই চলছে এমন দিনে দুপুরে ডাকাতি।
কিছু দিন আগেই কলকাতার ব্যারাকপুরে ডক্টর এর কাছে চেক আপ করতে আসেন এক চিত্রশিল্পী। তিনি শান্তিনিকেতন এর প্রাক্তনী।নাম ত্রিদিব সিংহ । ফিরে যাওয়ার সময় বিকেল ৪ টায় তিনি হাওড়া স্টেশনে আসেন এবং শৌচালয় ব্যাবহার করতে গেলে তার কাছে ২ টাকা নেওয়া হয়। তিনি জানতেন না যে এই শৌচালয় ব্যাবহার এর জন্য কোনো টাকা লাগেনা। তাই তিনি টাকা দিয়েই প্রবেশ করেন। পরে তিনি জানতে পারলে রেল কর্তপক্ষের কাছে নালিশ জানিয়ে একটি চিঠি লেখেন এবং তাতে জানান তার থেকে অন্যায় ভাবে ২ টাকা নেওয়া হয়েছে।
এরকম এক ঘটনা হাওড়া স্টেশনে ঘটেছিল কয়েক বছর আগে। রোজ এই শৌচালয় হাজার হাজার মানুষ ব্যাবহার করেন। যার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০-৭০০০০ টাকা পকেটে এ ভরে শৌচালয় এর দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা।অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে তারা। কিন্তু সেই টাকা যায় কোথায়? এই খবর শুনে নড়েচড়ে বসে রেল কর্তপক্ষ। যে বেসরকারি সংস্থার সাথে ৫ বছরের চুক্তি হয়েছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করায় তারা সঠিক কোনো যুক্তি দেখাতে পারেনি। তারা বলছে কেউ কেউ নিজ ইচ্ছাতে বাথরুম পরিষ্কার এর জন্য টাকা দিয়েছে। কিন্তু তাদের কথায় অসঙ্গতি দেখে ওই সংস্থার সাথে চুক্তি বাতিল করেছে রেল। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তারা।।