দুয়ারে সরকার ক্যাম্প যেখান থেকে আমরা পেয়েছি অনেক সুবিধা,এবং পরবর্তীতে পেতে চলেছি আরো অনেক সুবিধা,যার আসল কাঠি কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যা মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে স্বাস্থস্সাথি কার্ড,রেশন কার্ড,ভোটার আইডি কার্ড এর মত নানান সুবিধা পেয়ে থাকি আমরা এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে। এবং পরবর্তী আরো উন্নত হতে চলেছে এই ক্যাম্প,কারণ এখনো যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাননি নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে তারাও কিছু না কিছু সুবিধা পেতেই পারেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে। আর সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তাই তার আগেও এই প্রকল্পের দেখা মিলবে আর তার আগেই তৃণমূল নেতার হুশিয়ারি উঠলো সাধারণ মানুষের উপর।কি বলছেন তিনি তাদের দাবি দেশের সমস্ত মহিলা ,পুরুষ সকলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পান বিশেষ করে মহিলাদের উপর তিনি রীতিমতো নির্দেশ দিয়েছেন যে এই দুয়ারে সরকার প্রকল্পের সুবিধা পান যার দ্বারা সেই দিদিকেই যেনো এবার ভোট টা দেওয়া হয়।কিন্তু হঠাৎ এই হুশিয়ারি কেনো? তিনি মহিলাদের বুঝিয়েছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার এর টাকা যে সমস্ত মহিলারা পান এবং এখনো পেয়ে চলেছেন তা কিন্তু এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্যই।
সুতরাং এবারের পঞ্চায়েত ভোট টা যেন তৃণমূল কেই দেওয়া হয়।তবে কি এবার এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত মহিলারা তৃণমূলকে ভোট না দিলে তারা কি আর এই সুবিধা পাবেন না ? এই প্রশ্নও উঠে আসছে। আর এটাই ত স্বাভাবিক।কারণ এইভাবে হুশিয়ারি জারি করলে তো সবাই এটাই ভাববে। তবে এই কথা পরিষ্কার এবং আমরা মানি যে বর্তমান দেশে দুয়ারে সরকার নিয়ে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এবং সাধারণ মানুষ কিন্তু অনেকটাই উপকার পেয়েছেন এই প্রকল্পের দ্বারা। তবে কি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্যই মহিলারা যেহেতু এই সুবিধা পেয়েছেন তাই ভোট কি এবার তৃণমূলকে দেওয়া উচিত? কি মনে হয়? তবে ভোট টা যেনো তৃণমূল কেই দেওয়া হয় সেই বার্তা নিয়ে বসিরহাটের তৃণমূলের এক নেতা হুশিয়ারি জারি করলেন। এই নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা শুরু হয়েছে মহিলাদের মধ্যে।তারা প্রশ্ন তুলেছেন এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প টা কিসের জন্য করা হয়েছে এই সব হুমকি আর হুশিয়ারি দেওয়ার জন্যই কি? এবং তারা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আমাদের টাকা দিচ্ছেন টা কি তিনি নিজের থেকে দিচ্ছেন? আর মাসে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে এই ভাবে ভোটার জন্য হুশিয়ারি? মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে কিনে ফেলতে চাইছেন তারা? মানুষ বলছে এই ভাবে তারা তো ভোট কিনতে চাইছেন।তৃণমূলের এক নয় একাধিক নেতারও একই হুশিয়ারি উঠলো মহিলাদের দিকে যে ভোট যেনো তৃণমূলেই পড়ে। তবে কি এবার সমস্ত ভোট তৃণমূলই পাবে? কি মনে হয়? নাকি শুধু মহিলারাই দেবেন তৃণমূলকে ভোট? নাকি এই হুশিয়ারি জেরেই সমস্ত মহিলাটা এবারের পঞ্চায়েত ভোট টা তৃণমূলকে দেবেন? কি হতে চলেছে এবারের পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্টে? নাকি ভোটের দিনও এই ভাবেই হুশিয়ারি দিয়েই ভোট কিনে নেওয়া হবে? এই বিষয়ে আরো জানব আমরা আমরা পরবর্তী খবরে।