ভবানীপুর
উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ভবানীপুরের ২০২১ নির্বাচনে ২৮
হাজার ভোটে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৮৮৩২ ভোটে জয়ী হয়েছেন ভবানীপুরে।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিকট্রি সাইন দেখাননি। ভবানীপুর ছাড়াও জঙ্গিপুর-সামশেরগঞ্জের ভোটের ফলপ্রকাশের বিষয়টিও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ”আমি ভি দেখাব না, আমি তিন দেখাব। তিনটে সিটে লড়াই করেছি। তিনটে সিটেই আমরা জিতছি। বাংলাই ভারতকে পথ দেখাবে।” বললেন, ”ভবানীপুরে ভাষাভাষি নির্বিশেষে সকলে আমাদের ভোট দিয়েছেন। ভবানীপুর শুধু নয়, সারা ভারতের মানুষজন আসলে আমাদের জিতিয়েছেন। কোনও ওয়ার্ডেই আমরা হারিনি এবার। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও কম, কোথাও বেশি ভোট পেয়েছি। কিন্তু কোথাও হারিনি।”
এর আগে নন্দীগ্রামের
নির্বাচনী ফলাফল নিয়েও আজ মুখ খোলেন মমতা। বলেন, “আরও অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। সেসব আদালতের
বিচারাধীন। আজ সেই সব চক্রান্তের জবাব দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আমি তাঁদের কাছে ঋণী।”
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৮৮৩২ ভোটে জয়ী হয়েছেন ভবানীপুরে। এরপরই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal ) স্বীকার করে নিয়েছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই এই পরাজয়। এদিন ফল প্রকাশের পর প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আমি স্বীকার করছি, আমাদের ভবানীপুরে সংগঠনের দুর্বলতা ছিল। ভোটে জেতার জন্য যে সংগঠনের প্রয়োজন হয়, তা আমাদের ছিল না। একজন নেতা কখনও জেতেন না, কখনও হারেন না। জেতে সংগঠন।'
প্রিয়াঙ্কা
টিবরেওয়ালের কথায়,
'আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, ভবানীপুরে
আমাদের দলের সংগঠনের দুর্বলতা
ছিল। ভোটে জেতার জন্য
যে সাংগঠনিক শক্তির প্রয়োজন হয়, তা আমাদের
ছিল না। একজন নেতা
কখনও নির্বাচন জেতেন না, একজন নেতা
কখনও নির্বাচন হারেন না। জেতে বা
হারে সংগঠন।' তবে, জয়ের জন্য
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েও প্রিয়াঙ্কা এদিনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন।
রাজ্য
সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ভবানীপুরের ফল তাঁদের ভবিষ্যতে
লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা জোগাবে৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতির যুক্তি, ‘প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল যে লড়াউ করেছেন,
তা প্রশংসার দাবি রাখে৷ ভবিষ্যতের
নির্বাচনগুলিতে লড়াইয়ের জন্য ভবানীপুর আমাদের
অনুপ্রেরণা জোগাবে৷’
ভবানীপুর (Bhabanipur) উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ৮৪ হাজার ৭০৯। যা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের চেয়ে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোট বেশি। তিনি পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের এই পরিসংখ্যান তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, ২০১১ ও ২০১৬ সালের চেয়ে ব্যবধান কিংবা প্রাপ্ত ভোট অনেকটাই বেশি।
ভবানীপুরে (Bhabanipur Bypoll) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
(Mamata Banerjee) রেকর্ড
জয় নিয়ে বিশেষ কোনও
প্রতিক্রিয়া দিতে শোনা যায়নি
প্রথম সারির বিজেপি (BJP) নেতাদের। জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata
Banerjee) অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্য সভাপতি
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ভবানীপুরে লড়াই হয়েছে। জনগণের রায়কে বিজেপি যেমন আগেও মাথা
পেতে নিয়েছে, এখনও নিচ্ছে বলেই
জানিয়েছেন তিনি।