৫০ নম্বর অয়ার্রডের তৃণমূলের নিশ্চিত আসন ছিনিয়ে নিলো বিজেপি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

তৃণমূলের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিত আসন আজ পর্যন্ত কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি। কিন্তু ২০২১ এর কএ-এম-সি ভোটে পালটে গেলো শেঈ চিত্রটি। শহরের তিনটি আসন নিশ্চিত করেছিলো বিজেপি। তাঁর মধ্যে দুটোতে অর্থাৎ মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝা যথাক্রমে ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছে জয়। কিন্তু সুনীতা ঝাওয়ারভ ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের আসন ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। তার বদলে এলো ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের আসন্ন। জিত হাসিল করলেন  দীর্ঘ সময় ওই ওয়ার্ডে থাকা কংগ্রেস কাউন্সিলর এর দায়িত্বে থাকা প্রদীপ ঘোষের ছেলে সজল ঘোষ।
 লেবুতলার দূর্গা পুজোর দায়িত্বে থাকা সজল ঘোষকে সবাই  “দেবু” নামেই চেনে। তিনি এই জায়গায় পদ্মফুল ফোটালেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সদ্য। বাবার মতোই ছেলেও প্রথমে কংগ্রেস ও পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে এক্টু দেরিতে। গত বছর ফেব্রুয়ারীতে এসেছিলেন বিজেপিতে। 
   বয়স কম হলেও দলবদলে এগিয়েই সজল ঘোষ। কলেজে পড়াশোনা করার সাথে সাথেই ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে পরিষদের জেলা সভাপতি হন তিনি। পরে আবার বাবার সঙ্গেই তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের সাথে যুক্ত হন। কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে কাউন্সিলর পদের জন্য লড়েছিলেন তৃণমূলের হয়ে। কিন্তু দলের সঙ্গে মতভেদ হওয়ায় আবার কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছিলেন বাবার সাথে সাথেই। পরে আবার ২০১২ সালে তৃণমূলে ফিরে এসেছিলেন সজল। এবার বিজেপির থেকে টিকিট পেলেন কাউন্সিলর হয়ে লড়ার জন্য।

যদিও কেউ ভাবতেও পারেনি কে-এম-সি তেই টিকিট পেতে পারেন বলে। সবাই ভেবেছিলো বিধানসভা নির্বাচনেই বিজেপি-র টিকিট পাবেন তিনি। কিন্তু তা না হওয়ায় কেউ ভাবতেই পারেনি যে তিনি এই নির্বাচনে টিকিট পাবেন বলে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পরে নতুন করে প্রচারের জন্য নামেন তিনি। ১২ আগস্ট মুচিপাড়া থানা এলাকায় একটি গোলমাল হয়, যেখানে মনে করা যে, সেখানে সজল ঘোষেই ‘উস্কানি দিয়েছিলেন। তার ওপরেই ভিত্তি করে  পরের দিন কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে সজল ঘোষকে। সেই গআতক করার ঘটনাটি ছিল বেশ নাটকীয়। বাড়ির বন্ধ দরজা থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন সজল ঘোষ। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পুলিশ। দরজা ভেঙে সজলকে ধরে নিয়ে যায় তারা।

সেই মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন। তবে সেই ঘটনা নতুন করে মানুষের সামনে নিয়ে আসে সজলকে। ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ শুরু করেন তিনি। তার পরেই ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচীত হন। তবে তার পরেও গোলমালের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর ওপর। সজলের কার্যালয়কে পুরপুরি ভাবে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কলকাতার পুরভোটে অন্যতম টক্করের স্থান হয়ে ওঠে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন সজলই। ফোটালেন পদ্মফুল।

Journalist Name : Trina Bhattacharya

Related News