পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নবান্নের সভাঘরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে চলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। মূলত, এই সমস্ত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, সমন্বয় নিয়েই বৈঠক হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে।
তবে নবান্ন সূত্রে খবর, এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গিয়েছে নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে। পূর্বাঞ্চলীয় কমিটির বৈঠক শেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেই তিনি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে। বর্তমানে রাজ্যে সাথে কেন্দ্রের সংঘাত চরমে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র রাজ্যের একান্ত বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অধুনা রাজ্যে বেশ ভালোই তৎপর কেন্দ্রীয় দুই গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। সেই ইস্যু নিয়েও একান্ত বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানাচ্ছে সুত্র।
অন্যদিকে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া টাকার পরিমাণ বেশ অনেকটাই, কেন্দ্র সরকার সেই বয়েকা অর্থ অনেকদিন ধরেই আটকে রেখেছে। সে কারণে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি আরও কিছুটা থমকে গিয়েছে। একাধিকবার দিল্লিতে সমস্যার কথা জানিয়েও সেরকম কিছই লাভ হয়নি। অন্যদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন ‘এক দেশ এক উর্দি’, অর্থাৎ দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের পুলিশদের এক ছত্রে আনার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার সরাসরি বিরোধিতা না করলেও তাতে যে রাজ্যের আপত্তি রয়েছে তা স্পষ্ট বোঝায় গিয়েছিল। শুধু তাই নয় রাজ্যে বিএসএফ-র ক্ষমতা বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার। সম্ভবত, এই সমস্ত ইস্যু নিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মতামত রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।