মা নাকি স্ত্রী ?কাকে বেশি ভালোবাসা উচিত? কার বেশি সম্মান পাওয়া উচিত? দুজনের পার্থক্য ই বা কি? অমিতাভ বচ্চন সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই ব্যাপারে। দুজনেই আমাদের ভালোবাসা দেয় ।দুজনেই আমাদের জন্য প্রার্থনা করে। দুজনেই আমাদের জন্য স্বার্থ ত্যাগ ও করে। দুজনেই আমাদের যতটা প্রয়োজন তার থেকেও বেশি আমাদের খাওয়ায়। আমাদের বাড়িকে ঘরে পরিণত করে এই দুজনে। সব সময় আমাদের পাশে থাকে এই দুজন। আমাদের অবলম্বন করে বাঁচে দুজনে। তাহলে কি পার্থক্য রয়েছে এই দুজনের মধ্যে ?আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে সব সময় স্ত্রীদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্ম ক বা অপমানজনক যাকে ভাবা হয়, ফানি জোকস ,এমন পোস্ট করে থাকি। কিন্তু মায়েদের নিয়ে সবসময় অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানজনক পোস্ট ই করে সবাই ।তিনি আরো বলেছেন তিনি এই দুজনের মধ্যে শুধুমাত্র একটি পার্থক্য দেখতে পান যা হলো, একজন তাকে এই পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে ।
আর একজন তাকেই তার পৃথিবী বানিয়ে নিয়েছে। আমরা সব সময় স্ত্রীদের যাকে বলে টেকেন ফর গ্রান্টেড ভেবে নিই। এর ফলে স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের মন খারাপের খোঁজটাও নেয় অনেক কম। অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ,সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনাতে ও তাদের স্ত্রীদের যুক্ত করে না ।কারণ তারা ভাবে তাদের স্ত্রী এরা এগুলি সামলাতে অদক্ষ। তিনি আরো বলেছেন ,"একজন মা সার্থ ত্যাগ করে তোমাকে ভালো অধিনায়ক বানাতে আর তোমার স্ত্রী সারা জীবন স্বার্থত্যাগ করে যাতে তুমি তোমার সেই অধিনায়কত্ব বজায় রাখতে পারো "।একজন মা সারা জীবনই তার সন্তানের থেকে আদর ,সেবা, যত্ন ,ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা পায় না। আর স্বামীর অর্ধাঙ্গিনী নিজের বাড়ি ছেড়ে এই স্বামীর ভরসা তে নতুন বাড়ি ,নতুন মানুষ জনের মধ্যে নিজেকে মানিয়ে নেয় । তাই কিছু সম্মান আর ভালোবাসা তারও প্রাপ্য। একজন স্ত্রী শুধুমাত্র জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তার স্বামীর লক্ষ্য নজর পায় ।তখন সে শুধু অপেক্ষা করে, সারা জীবনে একবার তার স্বামীর মুখ থেকে নিজেকে অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে যোগ্য প্রশংসা পেতে। তাই জীবনের প্রথম থেকে তাকে গুরুত্ব দেয়া উচিত ভালোবাসা আর সম্মান, দেওয়া উচিত। যাতে সে শুধুমাত্র তার বাবার রাজকন্যা নয় বরং তারা স্বামীর রানী হিসেবে নিজেকে অনুভব করতে পারে।