আবারও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে তৈরি হল জটিলতা। ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিল না প্রশাসন। যার জেরে, পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে শুভেন্দুর জনসভা বাতিল হয়ে যায়। বিজেপির দাবি, শুধু কলিগ্রামই নয়, তার আগে, বর্ধমানের স্বস্তিপল্লি, মির্জাপুরেও সভা করার অনুমতি চাওয়া হলেও, তা মেলেনি। সভা বাতিল হলেও বর্ধমানে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিরোধী দলনেতা। বললেন, বাতিল হওয়া সভা হবে ৮ জানুয়ারি। আর, ২ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। । নিরাপত্তা জনিত কারণে বিজেপির সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি পুলিশ সূত্রে। অনুমতি না মেলায় উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে বাতিল হল শুভেন্দুর সভা। শনিবার সংকল্প সভা হওয়ার কথা ছিল হিঙ্গলগঞ্জ এ। প্রথমে জমি জটে আটকে গিয়েছিল সভা। পরে অন্য একটি মাঠ বেছে নিলেও পুলিশে অনুমতি মেলেনি। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। বিরোধী দলনেতাকে সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের। যে মাঠে সভা হওয়ার কথা ছিল, সেই মাঠের মালিক রাজি না হওয়ায় সভার অনুমতি মেলেনি বলে দাবি পুলিশের। সেখানে প্রথমে জমি জটে আটকে গিয়েছিল পরে অন্য একটি মাঠ বেছে নিলেও পুলিশে অনুমতি মেলেনি। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। বিরোধী দলনেতাকে সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি তাঁদের।
কয়েকদিন আগেই আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে এক-শিশু-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, ওই সভায় পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না। এই নিয়ে যখন চাপানউতোর চলছেসরগরম রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তখন,পাশের জেলা পূর্ব বর্ধমানে বাতিল হল শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা।
আজ শনিবার, বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার রামেশ্বরপুর-বরুনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বরুনহাটের একটি মাঠে বিজেপির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সংকল্প সভায় যোগদানের কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু সেই সভাস্থলে জমিজট থাকায় সভা স্থগিত করা হল। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথমে তাঁরা বরুণহাটেরই একটি মাঠে সভা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু জমির মালিকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বরুণহাটেরই অপর একটি জমি বেছে সেখানে সভা করার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুলিশ ওই মাঠের এনওসি দেয়নি। পাশাপাশি হাইকোর্ট থেকেও এই সভার বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। সেই কারণেই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে এই সভা। হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানি ৩ জানুয়ারি। তারপরে বিজেপি সিদ্ধান্ত নেবে, কোথায় সভা করা হবে অথবা আদৌ সেই সভা হবে কি না।
পুলিশ সূত্রে দাবি,সভাস্থলের পাশেই রাস্তা। সেক্ষেত্রে সভা হলে, রাস্তা আটকে যেতে পারে। তাতে সমস্যা হতে পারে। আর পাশেই স্কুল রয়েছে। নিরাপত্তা জনিত কারণে বিজেপির সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি। বিজেপি নেতা সমীক ভট্টাচার্য বলেন, কেন সভা করা গেল না, তা বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিরোধী দলনেতাকে সভা করতে দেওয়া হবে না। তাঁর দাবি, হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় বহু বিজেপি কর্মীর ওপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হাসনাবাদ ব্লক এক সভাপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম সভা হবে, কিন্তু জমি নিয়ে মালিকদের সমস্যার জেরেই সভা হয়নি। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও হাত নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।’ গত ২১ নভেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা। কাঁথি স্টেশন লাগোয়া মাঠে দুপুর ১টা নাগাদ সভা শুরু হয়। এর আগে চলতি মাসের ৩ তারিখ কাঁথিতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। শুভেন্দুর সভায় মাইক বাজানো নিয়ে পুলিশের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল। অবশেষে আদালতের নির্দেশে মাইক বাজানোর অনুমতি মেলে।