বিকল্প সান্টা নিয়েই কাটলো বড়দিন, গলায় আক্ষেপের সুর

banner

#Pravati sangbad Digital Desk:

তাঁরা যোগ্য, কিন্তু তাতেও তাঁরা বঞ্চিত। তাঁরা রাস্তায় বসে থাকে দিনের পর দিন ঝড় বৃষ্টি পৌষের শিশির মাথায় নিয়ে, কিন্তু তাতেও হয়না স্বপ্ন পূরণ। হ্যাঁ, তাঁরা বঞ্চিত, তাঁরা বঞ্ছিত তাঁদের হকের চাকরি থেকে। তাঁদের মধ্যে কেউ গ্রুপ-ডি কেউ বা গ্রুপ সি কেউ আবার এসএসসি দিয়ে দিনের পর দিন রাস্তার মধ্যে বসে রয়েছেন। কারোর বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা। কারোর বাড়িতে বিবাহ যোগ্যা বোন আবার কারোর বাড়িতে কোলের সন্তান। জীবনের সবটুকু আনন্দ যেন কেউ মুহূর্তের মধ্যে কেড়ে নিয়েছে তাঁদের থেকে।

সেই বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজো হোক কিংবা বো ব্যারাকের বড়দিন পালন, সব  কিছু থেকেই তাঁরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন শুধু মাত্র ন্যায়ের আশায়। ভেবেছিলেন বড়দিনে কেক না আসুক হয়তো যীশু তাঁদের মনের কথা শুনবেন, গঙ্গার ওপারের নীল সাদা ১৪ তলার বাড়ি থেকে হয়তো কেউ আসবে তাঁদের নিয়োগ পত্র দিতে। অন্তত প্রতিশ্রুতি পত্রটুকুও যদি পাওয়া যায়, কিন্তু কোথায় কি! সে গুড়ে বালি।

তাই অগত্যা খানিকটা ব্যাঙ্গ করেই নিজেদের মধ্যে থেকেই একজন হলেন সরকারি প্রতিনিধি, পরনে তাঁর সান্টা পোশাক। আর ঝুলি থেকে বেরোল মিথ্যে প্রতিশ্রুতি পত্র। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি আর কারর কাছেই অজানা নয়। গারদে বন্দি হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, কল্যাণময়য় গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন সভাপতি সুবিরেশ ভট্টাচার্য সকলেই। তাঁরা সকলেই এই দুর্নীতির প্রধান মাথা, তা কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আদালতের নির্দেশ একের পর এক মামলার তদন্ত হয়েছে কিন্তু এখনও তাঁদের হাতে আসেনি নিয়োগপত্র।

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Related News