তবে এরই মধ্যে আবার শুরু হয়েছে করোনা এর দাপাদাপি। চীনে যে হারে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে বাংলা সহ পুরো ভারত চিন্তিত। সিঁদুরে মেঘ দেখে আতঙ্কে ও রয়েছে তারা। তাই বছরের শুরু তেই ফের নানান কোভিড বিধি লাঘু হতে পারে।মাস্ক পরিধান,সামাজিক দূরত্ব বজায় সহ নানান নিয়ম আবার আসতে পারে মানুষের জীবনে। আর এর প্রভাব পড়েছে পর্যটন কেন্দ্র গুলির হোটেল গুলিতে।তাই পর্যটন স্থল গুলি পর্যটক এ পূর্ণ থাকলেও প্রায় সমস্ত হোটেল গুলি ই ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
বড়দিনের মরশুমে আরো বেশি মুনাফার প্রত্যাশা করেছিলেন হোটেল মালিকেরা।" প্রথমে হোটেল রুম বুকিং করতে চাইলে রুম দেওয়া হবেনা। পরে যখন ভিড় থিকথিক করবে তখন রুম ভাড়া দেবো। চড়া দামে মুনাফা করবো ।" এমনটাই পরিকল্পনা করেছিলেন দীঘা এর অধিকাংশ হোটেল মালিকেরা।তবে তাদের এই পরিকল্পনা তে জল ঢেলে দিয়েছে করোনা।তাদের বক্তব্য," উৎসবের মরশুমে সবাই বেশি লাভ করতে চায় ।আমরাও তাই চেয়েছিলাম।ফের করোনা এসে সব তালগোল পাকিয়ে দিল। "
করোনার বাড়বাড়ন্ত এর খবরে মানুষজন এর পরিকল্পনাতেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। আগে ঘুরতে গিয়ে যেমন তারা হোটেল এ থাকতেন ।এখন তারা সেটি করতে নারাজ।তাই ঘুরতে গিয়ে আর হোটেল এ থাকছেন না,বরং কয়েক ঘণ্টা সমুদ্র সৈকতে কাটিয়ে বাড়ির পথে রওনা দিচ্ছেন পর্যটকেরা।
এক হোটেল মালিক বলেন ," এর থেকে আগে যে বুকিং গুলো আসছিল সেগুলো নিয়ে নিলেই ভালো হতো। তখনো বুঝতে পারিনি আবার করোনা এসে সব পরিকল্পনা বিগড়ে দেবে।" নিউ দীঘা থেকে ওল্ড দীঘা ,কোথাও বিন্দুমাত্র ফাঁকা জায়গা অবশিষ্ট নেই ,তবে হোটেল গুলি শূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন ," ভারতে জি ডি পি এর ৭.৪ % আসে পর্যটন থেকে। প্রায় ৪ কোটি মানুষ পর্যটন এর সাথে সরাসরি বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। করণার সময় এই পর্যটন ব্যাবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছিল।"
তারপর ধীরে ধীরে করোনা এর প্রভাব লঘু হতে থাকলে ভ্রমণ পিপাসু মানুষজন বেরিয়ে পড়ে ঘুরতে। হোটেল গুলো আবার ঢেলে সাজানো হয়। জীবন সম্পূর্ণ ভাবে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পূর্বেই ফের করোনা এর চোখ রাঙানি শুরু হয়ে গেলো। ফলস্বরূপ আবার হোটেল গুলি মন্দার মুখ দেখতে শুরু করেছে।।