গজলডোবা বাংলার পর্যটকদের কাছে কাশ্মীরের ডাল লেক

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

পর্যটকদের কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উত্তরবঙ্গের গজলডোবা। শীতের ছুটিতে কাছাকাছির মধ্যে ঘুরে আসার জন্য অনেকেই বেছে নিচ্ছেন গজলডোবাকে। কয়েক বছর আগেও এখানে খুব একটা পর্যটকদের দেখা মিলত না। কিন্তু শীত এলেই প্রতি বছর পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যায় গজলডোবায়। সামনে হিমালয়, তার নীচে নীল জলাধার এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর গজলডোবা। এখন আবার এখানে শিকারা পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা করছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দফতর।

পরিস্কার আকাশে দূরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলে তিস্তা নদীর গজলডোবা (gajoldoba) ব্যারেজ মোহ তৈরি করে। পুজোর এই ছুটির সময় জলপাইগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মফ:স্বল এলাকায় কিছু মানুষ সম্পূর্ণ অন্য কারণে ভিড় করছেন। সেই ভিড় পৌঁছচ্ছে উত্তরবঙ্গের তিস্তাপারেও। কাশ ফুলের জন্য! সাদা ধবধবে উজ্জ্বল সুন্দর কাশফুলে ঢেকেছে গজলডোবার তিস্তাপার। প্রকৃতির সেই অপার সৌন্দর্য দেখতে, সৌন্দর্যময় তিস্তা নদীর তীর উপভোগ করতে প্রতিদিন সেখানে ভিড় করছেন অসংখ্য স্থানীয় মানুষ। তিস্তাতীরের কাশ ফুল দেখতে এমনকি ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।


তাই তিস্তা নদীর তীরে কাশফুলের দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই এখানে একটু-একটু করে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ, ছোট থেকে বড় সকলেই। সেই অপার্থিব দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকেরাও। 

গজলডোবা উত্তরবঙ্গের খুব ছোট্ট একটা গ্রাম। এক্ষেত্রে পাহাড়ি গ্রাম বললে একটু ভুলই হবে। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের ওদলাবাড়ির খুব কাছেই অবস্থিত এই গ্রাম। এর পশ্চিমে মহানন্দা আর পূর্বে তিস্তা। চাষবাসের জন্য তিস্তার উপর বাঁধ দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে এই গজলডোবায় নীল জলাধার তৈরি হয়েছে। এখানে তিস্তা খুব শান্ত। এই গজলডোবার জলাধারেই প্রতি বছর শীতের মরশুমে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির শ্রাইক, পেলিক্যান, ওয়াগটেল, রাডি শেলডাক দেখা পাওয়া যায়। তা দেখতেই মূলত ভিড় করেন পর্যটকেরা। তাই তো এখানে নৌকবিহারও বেশ জনপ্রিয়। এতদিন পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের নৌকায় চেপেই ভ্রমণ করতে হত। খুব শীঘ্রই শিকারা পরিষেবা চালু হবে এই তিস্তা জলাধারে।


তিস্তা জলাধার ছাড়া মনোরম আবহাওয়ার জন্যও পর্যটকেরা গজলডোবাকে বেছে নেন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে আর ভাগ্য সঙ্গ দিলে গজলডোবা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘারও দেখা পাওয়া যায়। গজলডোবার একদিকে রয়েছে অপালচাঁদের জঙ্গল আর অন্যদিকে বৈকুন্ঠপুর অরণ্য। সুতরাং, এখানে হাতির দেখাও মিলতে পারে। তবে, শান্ত পরিবেশে দু’দিন ছুটি কাটানোর জন্য আপনি অনায়াসে গজলডোবাকে বেছে নিতে পারেন। গজলডোবা থেকে গরুমারা জাতীয় উদ্যান খুব কাছে। মাত্র ২৬ কিলোমিটারের পথ। সুতরাং, সেখানেও খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন।

গজলডোবা বাংলার পর্যটকদের কাছে কাশ্মীরের ডাল লেক 


Journalist Name : প্রিয়শ্রী

Related News