পরিত্যক্ত বাগান
জীর্ণ কুটীর
পূর্ণিমার চাঁদ হেসে বেড়ায়
চারি দেওয়াল।
অবশী সহদরেরা-
পঞ্চ পাণ্ডবের বাস,
সবাই যোদ্ধা
পান থেকে চুন খসলে
মেতে উঠে পাড়া
হয়তো এই বুঝি সমুদ্রে
আছড়ে পড়বে আয়লা
কুঁকড়ে যায় লজ্জায়
মনে হয় রয়ে আছি
অন্তঃসঙ্গে।।
-------------
চপল মনে চপেটাঘাত
ডাঃ দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য্য
সংবাদ নিতে দেরী হয় নি
অনেকে রয়ে গেল
চলে গেল অনেকে,
কথা সেই একটা
বলা যায় চর্বিতে চর্বন।
অনিচ্ছা সত্বে আসা
ভাবনার আকাশে নেমে আসে
অন্ধকার
সজল চোখের আঙ্গিনায়
অস্থির তরঙ্গ-
এ যেন-
চপল মনে চপেটাঘাত।।
কবি পরিচিতিঃ-
কবি - ডাঃ দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য্য
জন্ম -৩১/১০/১৯৫৫, পণ্ডিত পরিবারে। জন্মস্থান- যুগশ্বরা, মুর্শিদাবাদ, বর্তমান নিবাস ‘পঙ্কজ ভূপতি নিবাস’, কান্দী রাজবাড়ীর পিছন, মুর্শিদাবাদ। পরিবারে সামান্য ব্যতিক্রম হলেও নিজে একজন পণ্ডিত। পেশায় একজন সরকারী হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। অবসর গ্রহণ করে সমাজ সেবা ও চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। সেই সঙ্গে সাহিত্য জগতের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। ১৯৭৪ সালে কলেজ পত্রিকার মধ্য দিয়ে লেখা শুরু। কোলকাতা কাউন্সিলের অধীনে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারী ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি এপার বাংলা ওপার বাংলার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা ও সংবাদপত্রের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে এসেছেন। আজও লিখে চলেছেন। “যোগেশ্বর” দ্বিমাসিক সাহিত্য পত্রিকার সভাপতি ছিলেন। বিভিন্ন গ্রন্থ প্রণেতায় যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। তাঁর মধ্যে, কবিতামালা, আশীর্বাদ, অসময়ের সাথী, জীবন বেদ, মুক্তবেনী উল্লেখযোগ্য। তিনি কবি সাহিত্য সম্মানসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত। বর্তমানে কান্দী মহকুমার সাহিত্য সংস্কৃতি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি।
ডাঃ দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য্য
কান্দী রাজবাড়ীর পিছন,
পোঃ- কান্দী, মুর্শিদাবাদ
পিন- ৭৪২১৩৭
যোগাযোগ – ৯৭৩২৮৫৫০৭৩