নতুন বছরের শুরুতে সকলেই বিভিন্নভাবে আনন্দে মেতে ওঠেন। বছরের শেষে নতুন বছরের শুরুতে সেজে ওঠে সমস্ত জায়গা। কোথাও দেখা যায় রেস্তোরার সামনে লম্বা লাইন, আবার কোথাও বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে দেখা যায় লোকের সমাগম। বিগত দু বছর পর আবারও সব ভয়কে দূরে ঠেলে মানুষ নিজের আনন্দ উপভোগ করছেন।
করোনার জন্য সব কিছু বন্ধ হয়ে গেলেও আবার ধীরে ধীরে নিজের ছন্দে ফিরছে সমস্ত পর্যটনকেন্দ্রগুলি। বাড়ছে লোকেদের ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা ও। বছরের শুরুতে শীতের ছুটিতে পাহাড় দেখার অভিজ্ঞতা ছাড়তে চাননা কেউ। পাহাড়ে ঘেরা উত্তরভারত ঘোরার একদম সঠিক সময় এটি।
উত্তরভারতের বেশ কিছু জায়গা আকর্ষণ করে পাহাড়প্রেমীদের। উত্তরাখন্ড ও হিমাচলপ্রদেশের মনোরম ১২টি জায়গা দেখে নিন -
১. হাকুশু :
হিমাচল প্রদেশের সিমলার কাছে অবস্থিত চারিদিক পাহাড় বেষ্টিত এই জায়গাটির এক আলাদা সৌন্দর্য লক্ষ্য করা যায়। এই হোমস্টে টির এক বিশেষত্ব হল এটি মহিলা দ্বারা পরিচালিত। শুধুমাত্র মহিলা স্টাফ রয়েছেন এখানে।এই হোমস্টের মালিক স্থানীয় গ্রামের মহিলাদের নিয়োগ করে তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে ও আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করছেন।
২. মোনার্ক ম্যানর, মানালি :
মানালির মোনার্ক ম্যানর একটি জায়গাটি মানালির রাজপরিবারের জন্য উপযুক্ত হবে এমনভাবে তৈরি করা। ভিলাটি পুরানো মানালি রোডে অবস্থিত। মল রোড থেকে ২০ মিনিট, সাজলা জলপ্রপাত থেকে ১২ মিনিট, এবং কুল্লুর ভুন্টার বিমানবন্দর থেকে ৬০ মিনিট দূরে অবস্থিত এটি। ছুটি কাটাতে দম্পতিদের জন্য এটি সবচেয়ে রোমান্টিক গন্তব্য। সন্ধ্যার মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে বনফায়ারের সুযোগ। এখানে বিয়াস নদীর ধারে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে সাজলা জলপ্রপাত ও ৭ কিলোমিটার দূরে হাদিম্বা মন্দির।
৩. হার্ডিস হাইডওয়ে, সিমলা :
পাহাড় অনেকেরই প্রিয়। পাহাড়প্রেমী মানুষদের জন্য সিমলার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত হার্ডিস হাইডওয়ে এক আদর্শ জায়গা। সুন্দর বাগান ও একটি উপত্যকার মাঝে এই পাহাড়ি বাড়ি যে কারোর মন কাড়বে। এই স্থানটি সিমলা বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত। হিমাচল প্রদেশের এই কটেজে রয়েছে ওয়াইফাই, স্মার্ট টিভি, মিউজিক সিস্টেম, জিম, বই ও আরো অনেক কিছুর সুযোগ।
৪. কটেজ গ্লেড, দেরাদুন :
উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর থেকে ৬০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত কটেজ গ্লেড। পাহাড়ে ঘেরা এক অদ্ভুত মনোরম পরিবেশ পাওয়া যাবে এখানে। ইউরোপিয়ান উডেন চ্যালেটসের দ্বারা অনুপ্রাণিত এই কটেজটি পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘুরে আসার জন্য দারুন জায়গা। এছাড়াও এখানে রয়েছে বাড়িতে রান্না খাবারের স্বাদ।
৫. উইলো ক্যাসেল, ভিমতাল :
উত্তরাখণ্ডের ভিমতালে অবস্থিত উইলো ক্যাসেল। পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে শীতের ঠান্ডা অনুভব করার এক বিশেষ জায়গা এটি। এখান থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে ভিমতাল লেক। এই ক্যাসেলের চারদিকে সোনালি জুনিপার ও পেনসিল পাইন সাইপ্রেসের মতো গাছ ছড়িয়ে রয়েছে।
৬. এল সুয়েনো, মুক্তেশ্বর :
শীতের ছুটিতে দম্পতি, পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত জায়গা মুক্তেশ্বরের এল সুয়েনো। পন্তনগর বিমানবন্দর থেকে ৮৮ কিমি দূরত্বে অবস্থিত এটি এবং কাটগোধাম রেলস্টেশন থেকে ৫৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত৷ এখানে রয়েছে সাইকেল রাইডিং এর সুবিধা। শীতের ঠান্ডা হাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে বোনফায়ারের সুযোগও আছে।
৭. ফোরেস্ট, ভিমতাল :
উত্তরাখণ্ডের ভিমতালে ঘন বনের মধ্যে অবস্থিত ফোরেস্ট এক অপূর্ব সুন্দর জায়গা। এখানে ২টি পাইনউড কটেজ, ২টি বাঁশের কটেজ রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার এই হোমস্টে সাতটাল লেক থেকে ৪ কিমি দূরে অবস্থিত । এখনকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষের মন ভালো রাখে ।
৮. আমলিন, মানালি :
আমলিন হল একটি সুন্দর হোমস্টে। এটি মানালি মল রোড থেকে ১৫ মিনিট ও বশিষ্ঠ মন্দির, জিওথার্মাল হট স্প্রিংস থেকে ১০ মিনিট দূরে অবস্থিত। এখানে দুটি আলাদা সুইটের ব্যাবস্থা করা আছে। একটি হলো ডুপ্লেক্স সুইট ও অপরটি কাপল সুইট। এই হোমস্টে মানালিতে অবস্থিত। কাছেই রয়েছে জোগনি জলপ্রপাত। এছাড়াও রয়েছে হেলিকপ্টার রাইড, স্কিইং, প্যারাগ্লাইডিং ও ক্যাবল কার্ট রাইড।
৯. পাইনকোন কটেজ, সিমলা :
পাহাড়ে ঘেরা সিমলা সকল পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের একটি জায়গা। সিমলা থেকে এক ঘন্টা দূরে রয়েছে পাইন ও ওক জঙ্গলে ঘেরা এই কটেজ। এই কটেজগুলির ভিতরের কাঠের সাজসজ্জা যে কাউকে মুগ্ধ করবে । এছাড়াও রয়েছে ভিন্ন স্বাদের খাবার , বনফায়ারের সুযোগ। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেকোনো মানুষকে আকৃষ্ট করবে।