শুক্রবার কোচিতে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৪০৫ জন ক্রিকেটারের। ৪০৫ জনের মধ্যে থেকে বিক্রি হতে পারেন সর্বাধিক ৮৭ জন। ২৭৩ জন ভারতীয় এবং ১৩২ জন বিদেশি নিলামে রয়েছেন। বাংলা থেকেও ১১ জন ক্রিকেটারের নাম রয়েছে নিলামে। কোচির নিলামে সব থেকে বেশি টাকা নিয়ে নিলামে নামছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রয়েছে ৪২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। ১৩ জন ক্রিকেটার কিনতে পারবে তারা। মুম্বইয়ের পকেটে রয়েছে ২০ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। এই টাকায় ৯ জন ক্রিকেটার কিনতে পারবে তারা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের সব থেকে বড় সমস্যা ওপেনিং জুটি। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ছাড়া আর স্বীকৃত ওপেনার নেই নাইট রাইডার্স দলে। সুতরাং আইপিএলের মিনি নিলাম থেকে একজন ভালো মানের ওপেনার তুলতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে সেই ভারতীয় ওপেনারের পেছনে বেশি অর্থ ব্যয় না হয়। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে এন জগদীশন, শ্রীকর ভরত, মায়াঙ্ক আগরওয়ালের মত ক্রিকেটাররা রয়েছেন। জগদীশন কিংবা ভরতকে নিলে নাইট রাইডার্সের এক ঢিলে দুই পাখি মারা সম্ভব হবে। ওপেনার এবং উইকেটকিপার দুয়েরই সমস্যার সমাধান হবে। ৭ কোটি টাকায় বড় তারকাকে যে টিমে নেওয়া যাবে না, সে কথা নাইট টিম ম্যানেজমেন্টও জানে। তাই সতর্কভাবেই তাদের নিলামে অংশগ্রহণ করতে হবে।
নিলামের আগে ট্রেডিং থেকে শার্দূল ঠাকুরকে দলে নিয়েছিল কেকেআর। তাছাড়াও প্রাক্তন নাইট লকি ফার্গুসনকেও গুজরাট থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে এখনও কেকেআর স্কোয়াডে ১১ জন খেলোয়াড়কে নেওয়ার জায়গা রয়েছে। কিন্তু মাত্র ৭.০৫ কোটি টাকা নিয়ে নিলামে নামতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। কেকেআরের নতুন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত কীভাবে স্বল্প পুঁজিতে কার্যকরী ক্রিকেটার দিয়ে টিম গড়তে পারেন, সেদিকে নজর থাকবে।