“আমার যে তুই ছাড়া আর কোনও বেস্ট ফ্রেন্ড নেই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি" স্মৃতিচারণ ঐশ্বর্য্য শর্মার

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

তিনি চলে গিয়েছেন এক মাস তিন দিন হল। কিন্তু বার বার তাঁর স্মৃতিই যেন ফিরে ফিরে আসে। চোখের সামনে ভেসে উঠছে নানা স্মৃতি। মিষ্টি বোন ঐন্দ্রিলার এক মুখ হাসি আজও বার বার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠছে তাঁর। আর তাই তো ঐন্দ্রিলার পুরনো ভিডিও বার বার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে স্মৃতিতে হারিয়ে যাচ্ছেন ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য। ২৪ বছরের স্মৃতি আঁকড়ে বসে রয়েছেন দিদি। আরও হয়তো কত কত বছর একসঙ্গে কাটানো ছিল। আরও কত লড়াই লড়তে হত। কিন্তু আচমকাই মাঝপথে সব থেমে গেল ছোট বোন। মিষ্টি ফেলে গেল মিতুলকে। কিন্তু দিদির ফেসবুকের দেওয়াল জুড়ে কেবলই বোনের ছবি, ভিডিও। কত কত সুখস্মৃতির কথা ফুটে উঠছে রোজ রোজ। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা যাঁর কথা মনে পড়লে এখনও মনখারাপ হয় অনেকের। শুক্রবার ফিরে এল নায়িকার এমনই এক স্মৃতি।

নাচ, আবৃত্তি ছিল ঐন্দ্রিলার অত্যন্ত প্রিয়। এই কথা বার বার বলেছেন অভিনেত্রী। কত্থক শিখতেন। প্রথম বার ক্যানসার ধরা পড়ার পর থেকে নাচটা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশি ক্ষণ নাচ করতে পারতেন না। নিশ্বাসের কষ্ট হত। কিন্তু তার পরেও সুযোগ পেলেই গানের সঙ্গে পা মিলিয়ে নিতেন। ঐন্দ্রিলার তেমনই এক ভিডিয়ো আবারও প্রকাশ্যে।

বোনের মৃত্যুর পর ফেসবুকে সদ্য একটি লেখা লিখেছেন ঐন্দ্রিলার দিদি। সেই লেখায় কাতর ডাক শুনতে পাওয়া গেল। বোনকে ডেকে চলেছেন ঐশ্বর্য। তিনি লিখলেন, 'অনেকদিন তো হল, এবার তাড়াতাড়ি চলে আয় বুনু। তুই ছাড়া আমি যে পঙ্গু। কে আমাকে সাজিয়ে দেবে বল তো? কে আমার ছবি তুলে দেবে? কে না বলা মনের কথাগুলো আমার মুখ দেখে বুঝে যাবে? কে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো আমার সমস্ত মনের ইচ্ছে পূরণ করবে? কার সঙ্গে আমি ঘুরতে যাব? কার সঙ্গে পার্টি করবো? কার সঙ্গে আমি সারারাত জেগে সিনেমা দেখবো গল্প করব? কে আমাকে সঠিক পরামর্শ দেবে? আমাদের এখনও কত প্ল্যান্স বাকি আছে বল তো? কে আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসবে? কে আমার জন্য পুরো পৃথিবীর সঙ্গে লড়বে, আমাকে আগলে রাখবে? আমার যে তুই ছাড়া আর কোনও বেস্ট ফ্রেন্ড নেই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছরে আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখিনি বুনু। আমি জানি তুই স্বাবলম্বী, কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আয় বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।'

এরপর আবার ঐশ্বর্য লেখেন, “আমার যে তুই ছাড়া র কোনও বেস্ট ফ্রেন্ড নেই। তুই যে আমার জীবনীশক্তি। এই ২৪ বছর এ আমি যে নিজে থেকে কিছুই করতে শিখিনি বুনু। আমি জানি তুই সাবলম্বী, কিন্তু তোর দিদিভাই যে তোকে ছাড়া খুব অসহায়। তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে আই বুনু। অপেক্ষায় রইলাম।”

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News