ফের ইতিহাস গড়তে পারেন মেসি, সুপার ব্যালন ডি’অর পেতে পারেন মেসি

banner

#PRAVATI SANGBAD DIGITAL DESK:

ক্যারিয়ারে অসংখ্য পুরস্কার জিতেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। শুধু বাকি ছিল একটি বিশ্বকাপ। কাতার বিশ্বকাপে এসে সেই স্বপ্নও পূরণ হয় এই তারকার। ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৭ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন লিওনেল মেসি। শোনা যাচ্ছে এবার ব্যালন ডি’অর নয়, ফুটবল ক্যারিয়ারে বিশেষ অর্জনের পুরস্কার সুপার ব্যালন ডি’অর জিততে পারেন লিওনেল মেসি।


সুপার ব্যালন ডি'অর গত ৩০ বছরের সেরা পারফরম্যান্সকারী ফুটবলারকে পুরস্কৃত করা হয়। আলফ্রেডো ডি স্টেফানো একমাত্র খেলোয়াড় যিনি এই পুরস্কার জিতেছেন, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের পর ১৯৮৯ সালে চূড়ান্ত প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি।

ফুটবল ইতিহাসে একজনই এখন পর্যন্ত সুপার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। ১৯৮৯ সালে এই সম্মান পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। রিয়ালের হয়ে ডি স্টেফানো গোল করেছেন ৩০৮টি। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে টানা পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৭ এবং ১৯৫৯ সালে দুবার ব্যালন ডি’অর জেতেন তিনি। ফুটবলে তার অনন্য অবদানের জন্য ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সুপার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেয়া হয় তাকে। ডি স্টেফানোর ওই সুপার ব্যালন ডি’অর জয়ই ইতিহাসের একমাত্র সুপার ব্যালন ডি’অর। এরপর আর এই পুরস্কার ওঠেনি কারো হাতেই।
ঠিক সে রকমভাবেই ফুটবল ক্যারিয়ারে অর্জনের ঝুলিটা পুরস্কার ও ট্রফিতে পরিপূর্ণ লিওনেল মেসির। বাঁ পায়ের জাদু দেখিয়ে, ফুটবলকে তুলির আঁচড়ে অনন্য শিল্পকর্ম গড়ে ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে জেতেন কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপসহ অনেক পুরস্কার। ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো এবং ৩৬ বছর পর খরা কাটানোর দায়িত্ব ছিল মেসির কাঁধেই। তাই স্টেফানোর পর এবার মেসিকে নিয়ে শুরু হয়েছে সেই গুঞ্জন। কারণ অর্জনটা তো তারও কম নয়। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী গ্রহের একমাত্র খেলোয়াড়ের ঝুলিতে আছে দুইবার ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও তিনবার ইউরোপ সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। এছাড়া স্বপ্নের বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি দুইবার বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। চারবার দলকে জিতিয়েছেন ইউরোপ সেরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। একবার জিতেছেন কোপা আমেরিকাও। এমন তারকার তো একটা বিশেষ পুরস্কার এমনিতেই প্রাপ্য।
ব্যালন ডি’অরকে ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার হিসেবে দেখা হয়। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের প্রচলন শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। তবে মেসিকে সুপার ব্যলন ডি’অর দেয়া হবে কিনা এটা এখনো নিশ্চিত নয়। সুপার ব্যালন ডি’অরের রীতি চালু করার সময় জানানো হয় শুধু ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের মধ্য থেকেই দেয়া হবে এই পুরস্কার। বিশ্বকাপ খেলার পথে ছাড়িয়ে গেছেন অসংখ্য রেকর্ড। ছাড়িয়ে গেছেন জার্মানির ১৯৯০ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথিউসের ২৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড।

ফাইনালে ২ গোল করে মেসি ছাড়িয়ে গেছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের বিশ্বকাপে ১২ গোল। ইউরোপীয় না হওয়ার কারণে মেসি সুপার ব্যালন ডি’অর জেতার অযোগ্য হন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News