শীতের আমেজে পাহাড়ের কোলে চললো খাদ্য মেলা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

আমেজে পাহাড়ে ঘোরার এক আলাদা মজা আছে। ঠান্ডা হাওয়ায় পাহাড়ের কোলে দাড়িয়ে এক অদ্ভুত অনুভুতির উপলব্ধি করা যায়। পাহাড়প্রেমিদের জন্য এই সময়টা পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়। ভোরের সূর্যোদয় থেকে শুরু করে রাতের জগতে চারিদিকে জোনাকি পোকার মতো আলোর ছড়াছড়ি এক অপূর্ব সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে।

পাহাড়ি এলাকার মধ্যে অন্যতম হলো ডুয়ার্স। এই  ডুয়ার্স - এরই একটি সুন্দর জায়গা গরুবাথান। পাহাড় , নদী , ঝর্না ও বন-জঙ্গলে ঘেরা এক অপূর্ব পরিবেশে তৈরি এই স্থান। এখানের বিভিন্ন গ্রামে লেপচা , রাই-সহ বিভিন্ন প্রজাতির মানুষের বাস। ভিন্ন প্রজাতির মানুষের বসবাস থাকায় এখানে আলাদা আলাদা খাদ্যাভ্যাস রয়েছে। গরুবাথানের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে হোমস্টে , রিসর্ট ও  বিভিন্ন লজ।

ধীরে ধীরে এটি একটি পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে। নতুনভাবে অর্থ উপায়ের ব্যাবস্থা করতে পেরেছেন এখানকার মানুষজনেরা। এবার এই গরুবাথানের স্থানীয় বাবড়ি ময়দানে শুরু হয়েছে খাদ্যের মেলা। এখানে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রজাতির মানুষদের খাবারের সমাহার নিয়ে তৈরি হয়েছে মেলা। 

গরুবাথান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি আয়োজিত এই ফুড ফেস্টিভ্যালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জিটিএ'র ৪৩ নং সমষ্টির সদস্য রতন থাপা। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।

এদিন ফেস্টিভ্যাল কমিটির কার্যকরী সভাপতি  শ্যাম থাপা জানান , " মূলত গরুবাথানের পর্যটনক্ষেত্রগুলিকে বাইরের মানুষের কাছে তুলে ধরতে এই সনাতন খাদ্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে "। আগামিকাল এক র‍্যালি অনুষ্ঠিত হবে। র‍্যালি উদ্বোধন করতে আসবেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনিত থাপা।

মেলা চত্বর ঘুরে দেখলেন স্মরমিতা লেপচা। মেলায় রয়েছে বিভিন্ন প্রকার আচার, মোমো, ঢেকিছাটা চাল, সেল রুটি-সহ বিভিন্ন নিত্যনতুন খাবার। এছাড়াও নিজেদের স্থানীয় পোশাক পড়ে রান্নায় হাত লাগিয়েছে মহিলারা। পাহাড়ে ঘুরতে আসা বহু পর্যটক এদিন অনুষ্ঠানে হাজির হয়। নাচ, গান-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলতে থাকে রাত পর্যন্ত। এই মেলা ঘুরে পর্যটকেরাও বেশ আনন্দ লাভ করেছেন।

Journalist Name : পাপড়ি চক্রবর্তী